দেশের পণ্য প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় আয়োজন ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বেলা ১২টার দিকে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি মেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এজন্য কৃতজ্ঞ যে, টানা চারবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। ক্ষমতা আমার কাছে কোনো ভোগের সুযোগ নয়। আমার কাছে এটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের একটি সুযোগ, মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ, মানুষকে সেবা দেওয়ার সুযোগ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। যৌথভাবে এ মেলা আয়োজন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।
এবার মেলার সরকারের উন্নয়নমূলক চিত্র ফুটিয়ে তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে প্রধান প্রবেশদ্বার। পাশাপাশি থাকবে রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র। মেলায় এবার বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির আদলে। মেলায় ১০ ক্যাটাগরিতে থাকছে ৩৫০টি স্টল। থাকছে ১২ টি দেশের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ধরনের স্টল।
এছাড়াও মেলায় আগত শিশুদের জন্য থাকছে একটি অত্যাধুনিক শিশু পার্ক। মেলায় যেন কোন প্রকার সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেজন্য সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি থাকছে ৫টি ওয়াচ টাওয়ার। রাজধানী প্রবেশদ্বার কুড়িল থেকে বাণিজ্য মেলায় আসা-যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনা সরণি সড়কটি পুরোপুরি খুলে দেয়ায় রাজধানীসহ আশেপাশের দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন এবারের মেলায়।
এবছর মেলায় বড়দের প্রবেশের টিকেটের মূল্যে নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা, শিশুদের জন্য টিকেটের মূল্যে ২০-২৫ টাকা। প্রতিদিন মেলা খোলা রাখা হবে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ছুটির দিন খোলা থাকবে সকাল ৯ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি হবে বলে আশা করছে মেলা কর্তৃপক্ষ।