দক্ষিণবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ খাসমহল লতিফ ইনস্টিটিউশনের এড কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি হলেন ,মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সফল উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান।একই সাথে শিক্ষক সদস্য মোসাঃ নাসিমা বেগম, অভিভাবক সদস্য কামাল খান ও পদাধিকার বলে সদস্য সচিব হন প্রধান শিক্ষক।
১৮/০৬/২০০৯ তারিখে প্রকাশিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড বরিশাল, মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০০৯ এর ৩৯ নং ধারা অনুযায়ী নিম্নলিখিত ৪(চার) সদস্য সমন্বয়ে গঠিত আপনার বিদ্যালয়ের অন্তবর্তীকালীন (এডহক) কমিটি অনুমোদন করা হলো।এই কমিটির মেয়াদ 2024-01-22 খ্রী. হতে 2024-07-21 খ্রী. পর্যন্ত ০৬ (ছয়) মাসের জন্য কার্যকর থাকবে বলে উল্লেখ করেন বিদ্যালয় পরিদর্শক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বরিশাল।যার স্মারক নং -বশিবো/বিঅ/২০২৪/২২৩৫ তারিখঃ ২২/০১/২০২৪ খ্রি.
কে,এম,লতীফ ইনস্টিটিউশন,বর্তমান খাস মহল লতীফ ইনস্টিটিউশন মঠবাড়িয়া ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হাতেম আলী জমাদ্দার এ অঞ্চলের মানুষকে শিক্ষার আলোকে আলোকিত করার জন্যে ১৯২১ সালে বর্তমান মঠবাড়িয়া পৌরভবনের স্থানে একটি মিডেল ইংলিশ স্কুল স্থাপন করেন এবং রোহিনী কুমার রায়কে প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত করেন।এ বাপারে তাঁকে সহায়তা করেন মঠবাড়িয়ার মৌলভী খবিরউদ্দিন আহম্মেদ ও হরিমোহন কুন্ডু এবং বকসির ঘটিচোরার হিরালাল চক্রবর্তী প্রমূখ।
১৯২৪ সালে এ স্কুলটি জুনিয়র হাইস্কুলে উন্নীত হয়।১৯২৮ সালে এ স্কুলটি হাইস্কুলে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
হাইস্কুল ভবন নির্মানের জমি না থাকায় হাতেম আলী জমাদ্দার মঠবাড়িয়া খাস মহলের তৎকালীন কর্মকর্তা জনাব আবদুল লতীফ চৌধুরীর শরণাপন্ন হন।এ ব্যাপারে তিনি সহযোগিতা করার আশ্বাস দিলে স্কুলটি নামকরণ করা হয় খাস মহল লতীফ ইনষ্টিটিউশন (কে,এম,লতীফ ইনষ্টিটিউশন)। অতপর আবদুল লতীফ চৌধুরী বকসির ঘটিচোরা মৌজায় কে,এম,লতীফ ইনষ্টিটিউশন অবস্থিত ,সেখান থেকে ১২ একর জমি স্কুলের নামে বরাদ্ধ করার জন্যে বাকেরগঞ্জ বর্তমানে বরিশাল জেলার প্রশাসক (তৎকালীন ডিষ্ট্রিকক্ট কালেক্টর) এর নিকট প্রস্তাব প্রেরণ করেন। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে ১৯২৯ সালের শেষভাগে স্কুলের ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন বাকেরগঞ্জ বর্তমানে বরিশালের জেলা প্রশাসক ও কালেক্টর এর পক্ষে পিরোজপুর মহকুমা প্রশাসক, সহ সভাপতি আবদুল লতীফ চৌধুরী ( তখন তিনি খান বাহাদুর উপাধি প্রাপ্ত হন নি) এবং সেক্রেটারী ছিলেন হাতেম আলী জমাদ্দার ( তখন তিনি খান সাহেব উপাধি প্রাপ্ত হন নি)। কমিটির সদস্য ছিলেন মৌলভী খবির উদ্দিন আহমেদ, হরিমোহন কুন্ডু, হীরালাল চক্রবর্তী প্রমুখ। পুকুর খনন করে জমি উঁচু করা হয়। এব্যাপারে সহায়তা করেন বরিশালের তৎকালীন জেলার কালেক্টর জে.টি.ডনোভন ।
১৯৩০ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিনজন পরীক্ষার্থী ম্যাট্রিকিউলেশন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন এবং তিনজনই পাস করেন। এ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার ফলাফল অদ্যাবধি উত্তম ।