বর্তমান সময়ে বহুল সমালোচিত জেলা বরগুনা।বরগুনা-বামনা উপজেলায় আজ ২৩/০১/২০২৪ইং রোজ মঙ্গলবার বেলা ১১ ঘটিকায় ৪ নং ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বরিশাল-কাকচিড়া-পাথরঘাটা মহাসড়কে স্থানীয় জনতা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জননন্দিত-জনপ্রিয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহনতী মানুষের মানবতার বন্ধু মোঃ মিজানুর রহমানের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে দাবি করেন,
১৫/০১/২০২৪ বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নে সুন্দরবন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তারের অসাবধানতা,ভূলচিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ১৬/০১/২০২৪ তারিখ বামনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু এ ঘটনার কয়েকদিন পূর্বেই মিজান ঢাকায় অবস্হান করলেও একটি অপশক্তির নিলনকশার মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামিলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ৪ নং ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজানকে ঐ মামলায় ৩ নং আসামি করা হয় এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, উক্ত ক্লিনিকের কর্তব্যরত ডাক্তার সবুজ কুমার দাস অন্য কোন অভিজ্ঞ সার্জন ও স্টাফ ছাড়া তার অদক্ষ সহকর্মীদের নিয়ে অপারেশন শুরু করেন। দীর্ঘ সময় পার হলেও অপারেশন থিয়েটার থেকে কোন সংবাদ না আসায় পরিবারের সন্দেহ সৃষ্টি হয়, সন্দেহের সৃষ্টি হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে অপারেশন থিয়েটার খোলার জন্য বললেও অপারেশন চলছে বলে কক্ষের দরজা বন্ধ রাখেন। এভাবে দীর্ঘ ০২ ঘন্টা ৩০ মিনিট অতিবাহিত হবার পর দরজা খোলার জন্য জোরালো দাবি জানালে, ডাক্তার ভুক্তভোগীর বাচ্চাকে তার পেটের মধ্যে পুনরায় রেখে তার পেট বাহির থেকে সেলাই করে কসটেপ মেরে রাত অনুমানিক ১০.০০ ঘটিকায় অপারেশন থিয়েটার হতে বের করে, রোগীর হার্টবিট বেড়ে গেছে বলে এবং তাকে জরুরী ভিত্তিতে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যেতে বলে। তাদের কথা মত, পূর্ব থেকে ভাড়া করা এম্বুলেন্স যোগে বরিশাল নেওয়ার পথে ভান্ডারিয়া থানা এলাকায় পৌঁছালে দীর্ঘ সময় ভুক্তভোগীর কোন সাঁড়াশব্দ না দেখে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেড় থেকে দুই ঘুটা পূর্বে মারা গেছে মর্মে ঘোষণা করেন।
উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে বরগুনা জেলার বামনা থানায় ০৮ জনকে আসামি করে ১৬ জানুয়রি একটি হত্যা মামলা করেন (মামলা নং- ০৬ এই ঘটনায় দেশ ব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আলোচনার সৃষ্টি হয়।ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র্যাব-২ এ বিষয়ে আসামিদেরকে গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ২০ জানুয়ারি আসামি মোঃ মিজানুর রহমান(৪০) কে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। আসামিকে গ্রেফতার পূর্বক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে জানান র্যাব-২ এর সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম,পরে আসামি মোঃ মিজানুর রহমান(৪০) কে বরগুনা জেলার বামনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তিনি আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেলা কারাগারে রয়েছেন বর্তমানে। তার অনুসারীরে বলেন,আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজানের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাঁধভাঙ্গা জনতার একটা-ই জিজ্ঞাসা মিজানের মুক্তি কবে হবে?