আজ বৃহস্পতিবার ২৫ জানুযারী ২০২৪ ইং তারিখ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আবদুল কাইয়ুম ও তার সহযোগী প্রশাসনিক দল মহামান্য হাইকোর্ট এর নির্দেশনা অনুযায়ী মঠবাড়িয়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে বালুর মাঠ থেকে এবং তার ঠিক পুর্ব পাশে অর্থাৎ পৌর ফিস মার্কেটের বিপরীতে যেটা ফলপট্টি নামে পরিচিত সেই অবৈধ স্থাপনাগুলো বা দোকান ঘর ছিলো সেগুলোর উচ্ছেদ অভিজান পরিচালনা করেন।
মঠবাড়িয়া পৌরবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী ছিলো বালুর মাঠ থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে মঠবাড়িয়া পৌরসভার সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও হাটাহাটি বা ব্যায়ামের জন্য উপযোগী একটি মিনি পার্ক স্থাপনের। অপরদিকে ফিস মার্কেটের বিপরিতে অবৈধ দোকান /স্থাপনা উচ্ছেদ পরিচালনার সময় ব্যবসায়ী ও ঘর মালিকরা দাবি করেন ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে তারা ভোগ দখলে থেকে ব্যবসা পরিচালন করছেন এবং ২০২১ সাল থেকে ডিসিয়ার কার্যক্রম বন্ধ ছিলো।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২০২১ সাল থেকে পিরোজপুর ডিসি অফিস কতৃক এ সকল অবৈধ স্থাপনা/ দোকানের ডিসিয়ার কার্যক্রম বন্ধ। তারই ধারাবাহিকতায় তাদের বারবার নোটিশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম বলেন মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আল্টিমেটাম দিয়েছিল- মঠবাড়িয়া প্রথম শ্রেণীর পৌর ভবন থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে অবস্থিত বালুর মাঠ।বালুর মাঠের পূর্ব ও উত্তর পাশে বহু বছর ধরে ডিসিআরকৃত দোকান রয়েছে এবং পূর্ব পাশে অনেক দোকানের ডিসিআারও নেই। মঠবাড়িয়ায় পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র বালুর মাঠের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম।পৌরবাসীর সকাল-বিকাল ব্যায়াম বা হাটাহাটি ও মিনি পার্ক স্থাপনের জন্য গতকাল ২১ জানুয়ারী,শনিবার সকালে বালুর মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি নির্দেশ দেন।
এক শ্রেণীর অসাধু দোকান মালিকরা বিভিন্ন সময়ে কৌশলে দোকানের পেছন থেকে দখল করে দোকানের পরিধি বৃদ্ধি করেছেন। অনেকে পরিবার সহ বসবাসও করছেন।ময়লার ভাগাড়ে পরিপূর্ণ মঠবাড়িয়া পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র বালুর মাঠটি।ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধের পাশাপশি পরিবেশের ওপর ব্যাপক প্রভাব পরেছে। দুর্গন্ধে আশপাশে নাক চেঁপে চলাচল করতে হয়। বর্ষার মৌসুমে দুর্গন্ধের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পায়। মঠবাড়িয়া পৌরবাসী প্রতিদিন সকাল-বিকেল ব্যায়াম বা হাটাহাটির জন্য দীর্ঘ দিন ধরে বালুর মাঠ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে বালুর মাঠ কে দৃষ্টিনন্দন করার দাবী জানিয়ে আসছিলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, বালুর মাঠের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোববার (আজ) থেকে বালু ভরাটের কাজ শুরু হবে। বালুর মাঠটি দৃষ্টি নন্দন করা হবে। যাতে পৌরবাসি স্বাস্থ্য সুরক্ষা জন্য সকাল-বিকেল ব্যায়াম বা হাটাহাটি করতে পারেন।