গত বুধবার,২৪ জানুয়ারী রাতে সন্ধ্যা নদীর বিনয়েকপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম সরোয়ার। বরিশাল বিভাগের,পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলা থেকে দেড় কোটি টাকার সুপারিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে নেছারাবাদ থানা পুলিশ ; জব্দ করা এসব পণ্য ভারতে পাচারের উদ্দেশে বহন করা হচ্ছিল বলে দাবি পুলিশের।
এ সময় ট্রলারে থাকা মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার সহ তার কয়েক জন সহযোগী পালিয়ে যান বলে জানায় পুলিশ। অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের সেকেন্দার মাঝির ছেলে-মো. হারুন মাঝি (৬০),একই এলাকার আব্দুল খালেক হাওলাদারে ছেলে-অলি হাওলাদার (২৮) এবং মো. ফয়েজ হকের ছেলে-নূর নবী মাঝি (৩২)।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার নেছারাবাদ থানায় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান সহ আরোও চারজনের নাম উল্লেখ করে ওঅজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ১০-১২ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে নেছারাবাদ থানা পুলিশ। নেছারাবাদ থানার ওসি গোলাম সরোয়ার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যা নদীতে অভিযান চালানো হয়।
অভিজানে দুটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করা হয়।পরে ট্রলারে তল্লাশি করে প্রায় দেড় কোটি টাকার সুপারি জব্দ করা হয়েছে।এ সময় তিনজনকে আটক করা হলেও ট্রলার মালিক ইউপি চেয়ারম্যানের শাহজাহানসহ ১০-১২ জন পালিয়ে যান।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে ওসি বলেন, “ট্রলারসহ সুপারিগুলোর মালিক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান।ট্রলার দুটিতে যে সুপারি গুলো জব্দ করা হয়েছে সেগুলো ভারতে পাচারের জন্য বহন করা হচ্ছিল” নেছারাবাদ থানার ওসি গোলাম সরোয়ার বলেন,আটকদের মধ্যে একজন মাদক মামলার আসামিও আছেন।এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আগেও পাচারের মামলা হয়েছিল এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতার করার প্রচেষ্টায় আছে নেছারাবাদ থানা পুলিশ। ১নং তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শাহজাহানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে ব্যর্থ হলেও,তার অনুসারীরা জানান এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা,ভিত্তিহীন,বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার।
তিনও এই কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নয় এবং তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।