পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ(স্বরূপকাঠি) উপজেলায় আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের ( ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও পিরোজপুরে জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখর কুমার সিকদার হত্যা মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ও র্যাব-৮ এর পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার এবং তাঁর সহযোগী সুসময় হালদার, জালিস মাহামুদ, আমিনুল ইসলাম, তাপস মজুমদার, শংকর সরকার, স্বাধীন হালদার ও বাবুল হাওলাদার। গ্রেপ্তারকৃত আট জনের মধ্যে বর্তমান (ইউপি) চেয়ারম্যান মিঠুন হালদারকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয়।
জানা গেছে, র্যাব-৮ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলায় আত্মগোপনে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার এবং তাঁর সহযোগী সুসময় হালদার, জালিস মাহামুদ ও আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। সেই সাথে বাকি চার আসামিকে স্থানীয় থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৮ সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার(৩০জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নেছারাবাদ উপজেলার কুড়িয়ানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন সাবেক (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদার।পথে কুড়িয়ানা বাজারে আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মিঠুন হালদারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০ জন শেখর কুমার সিকদারের পথরোধ করেন।একপর্যায়ে তাঁরা লাঠিসোঁটা দিয়ে শেখর কুমার সিকদারের ওপর হামলা চালান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদারের স্ত্রী মালা মণ্ডল বাদী হয়ে মিঠুন হালদারকে প্রধান আসামি করে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করেন।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম সরোয়ার জানান,এ ঘটনায় পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে এবং র্যাব-৮ প্রধান আসামি মিঠুন হালদারসহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে র্যাব-৮ কতৃক গ্রেপ্তার হওয়া ওই চার ব্যক্তিকে এখনো থানায় সোপর্দ করেনি। উল্লেখিত,২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মিঠুন হালদারের কাছে শেখর কুমার সিকদার পরাজিত হন।আগে থেকই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।