মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সে দেশের বিদ্রোহীদের চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্তে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার দুপুরে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এদিনই তীব্র গোলাগুলিতে দিশেহারা হয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। আর দুইদিন বন্ধ থাকার পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে আবারো প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। ওপার থেকে গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশ অংশে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ঝামেলার প্রভাব পড়ছে আমাদের সীমান্তে। এই বিষয় সমাধানে চায়না হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে মনে করি। গেলো কিছুদিন ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে পিছু হটছে জান্তার সেনা সদস্যরা। রাখাইনের অনেকগুলো ক্যাম্প দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি।
বাংলাদেশে সীমান্তের কাছে নতুন করে এই সংঘাতের ফলে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গারা বোঝা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চায়না ভূমিকা নিতে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে কূটনৈতিক দুর্বলতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এখানে কি করতে পারি? ভারত-চায়নার কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট আছে। সে বিষয়ে কথা না বলি। আমরা যেনো তাদের ইন্টারনাল কনফ্লিক্টের শিকার না হই।
দিশেহারা জান্তা সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশেদিশেহারা জান্তা সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে এদিন বাংলাদেশে সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমেরিকা নির্বাচনের পর যে দুধরনের কথা বলেছে। তারা বলেছে, নির্বাচন যতোটা অবাধ, সুষ্ঠু হওয়ার কথা, তা হয়নি। আবার এটাও বলেছে, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক রাখার অঙ্গীকার আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গায়ে পড়ে সম্পর্ক খারাপ করবো না মন্তব্য করে কাদের বলেন, যার যার স্বার্থেই সম্পর্ক উন্নয়ন করবে। এদিকে দেশে চীনের অর্থায়নে চলমান মেগা প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের চায়না আন্তরিক বলেও মন্তব্য করেন।