বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত কোয়ার্টারে বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেল্থ টেকনোলজির (আইএইচটি) অন্তুরা পানুয়া নামের এক ছাত্রীর মরদেহ পাওয়া গেছে। নিহত অন্তুরা পানুয়া পটুয়াখালীর খলিসাখালি উপজেলার অনুকূল চন্দ্র পানুয়ার মেয়ে এবং আইএইচটির ডেন্টাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি)২০২৪ খ্রিঃ সকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তার কক্ষ ভেতর থেকে আটকানো ছিল। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত ছিল মরদেহটি।তিঁনি বলেন তারপরেও সুনির্দিষ্ট কোন লিখিত অভিযোগ পেলে পেলে অবশ্যই আমরা খতিয়ে দেখবো।
গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আইএইচটির ইন্সট্রাক্টরের মাধ্যমে তৃতীয় শ্রেণির কোর্য়াটারের একটি কক্ষে ওঠেন। রাতে ঐ কক্ষে একাই ছিলেন অন্তরা। আইএইচটির অধ্যক্ষ মানষ কৃষ্ণ কুন্ড জানান, হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের কোয়ার্টার শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় না। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী কীভাবে সেখানে গেলেন তা গভীর ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে ইনস্টিটিউটের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের জানান , আইএইচটির একটি কক্ষে ঝুলন্ত মরদেহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কক্ষের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। আত্মহত্যা বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বলেন বলেন, আইএইচটির এক শিক্ষকের সঙ্গে সর্ম্পকে জড়িয়েছিলেন মারা যাওয়া শিক্ষার্থী। সেখানে দন্দ থাকায় আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অন্তরা।