গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রামবল্লভ গ্রামে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ভিটায় পড়ে ছিল রক্তাক্ত এক মেয়েশিশুর লাশ।লাশটি প্রথমে মৃত শিশুর মা দেখতে পেয়েছিল।গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মারা যাওয়া শিশুটির নাম মরিয়ম (৮)। সে রামবল্লভ গ্রামের মকবুল মৃধা ও রীনা বেগম দম্পতির ছোট মেয়ে। মৃত শিশুটি ৪৯ নম্বর রামভালক অগ্রণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। লাশের সুরতহালে মাথায় জখম ও গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। শিশু মরিয়মের বাবা মকবুল গণমাধ্যম কর্মীদের জানান , এলাকায় কিছু লোকজনের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে তাঁদের বিরোধ আছে।বিরোধিতার জেরেই হয়তো তাঁর মেয়েকে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে হত্যা করে এভাবে পরিত্যক্ত ভিটায় ফেলে রাখা হয়েছে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মরিয়ম গত শনিবার বিকেলে বাড়ির পাশে তার ফুফু সেলিনা বেগমের ঘরে এসে ফুফাতো বোনের সঙ্গে খেলছিল। সন্ধ্যায় বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা বলে ফুফুর ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মরিয়মের মা রীনা বেগম মেয়ের খোঁজ করতে সেলিনা বেগমের বাড়িতে আসেন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েকে পাচ্ছিলেন না। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পূর্ব পাশে পরিত্যক্ত ভিটায় রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় রীনা বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমসন বলেন,এটা একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড।তিনি আরও বলেন,ঘটনার সঠিক তদন্ত করে উক্ত ঘটনায় জড়িত আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা হোক। দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, লাশ উদ্ধারের সময় শিশু মরিয়মের মাথায় একাধিক কোপ ও গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় শিশু মরিয়মের মাথায় একাধিক কোপ ও গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।