রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নয় তলা থেকে পড়ে প্রীতি(১৫) নামে এক গৃহকর্মী মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে থানা হাজতে রেখেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার(৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আটককৃতরা হলেন: সৈয়দ আশফাকুল হক(৬৫), তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার (৪৭), তার মেয়ে আফরিন হক(২২), ছেলে সৈয়দ আনাফ মাহমুদ(১৮), তার ভায়রা আল রাজি মাহবুব ও শালিকা রাজিয়া খন্দকার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো.মাহফুজুল হক ভূঞা। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রীতি নামে ১৪ বছরের এক গৃহকর্মী নয় তলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই বাসার গৃহকর্তা, গৃহকর্ত্রী তার দুই সন্তান ও বেড়াতে আসা গৃহকর্তার শালী এবং ভায়রাকে আটক করা হয়েছে। নিহত ওই গৃহকর্মীর পরিবার মৌলভীবাজার থাকেন।তাদেরকে খবর দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের ৬ আগস্ট একই কায়দায় ফেরদৌসী নামে এক গৃহকর্মী রহস্যজনকভাবে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার যৌনাঙ্গ সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আহতদের চিহ্ন পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন সে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলো। এই ঘটনায় আহত গৃহকর্মীর মা জোসনা বেগম তিনজনের নাম উল্লেখ করে মোহাম্মদপুর থানা একটি মামলা দায়ের করেন। সে সময় ওই মামলার আসামি ছিলেন সৈয়দ আশফাকুল হক (৫৬), তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার (৪৬) ও আসমা আক্তার শিল্পী (৫১)।
ওসি আরো বলেন,ওই একই ফ্লাট থেকে বারবার একই ধরনের ঘটনা ঘটছে বিষয়টি আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এর আগে ফেরদৌসী নামে ওই গৃহকর্মী জানে বেঁচে গেলেও আজ প্রীতি নামের ওই গৃহকর্মী একই কায়দায় নিচে পড়ে যায় এবং সে মারা যায়। নিহত প্রীতি দুই বছর যাবত সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার শাশুড়ির বাসায় কাজ করতেন। নিহত ওই গৃহকর্মীর বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার মিত্তিংগা গ্রামে। তার বাবার নাম লোকেশ উড়ান। তিনি আরও জানান ওই গৃহকর্তা একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকের নির্বাহী সম্পাদক।