টঙ্গীর তুরাগতীরে তিন দিনব্যাপী ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ করে চার দিন বিরতি দিয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্ব (সা’দ কান্ধলভীর অনুসারী)। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আমবয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। আর তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
আজ সকাল ১০টায় ভারতের মাওলানা ইলিয়াস তালিমের মৌজু, জুমার আগে জুমার ফাজায়েলের ওপর ১০ মিনিট বয়ান করবেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। জুমার পরে বয়ান করবেন শেখ মোফলে (আরবি), তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ্ মনসুর, আসরের পর বয়ান করবেন মাওলানা মোশাররফ, মাগরিবের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, তাৎক্ষণিক ভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাশেম।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার এবারের দ্বিতীয় পর্বে ১২ থেকে ১৪ হাজার বিদেশি মেহমান যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজারের বেশি বিদেশি মেহমান এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখো মানুষ টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানিয়েছেন, প্রথম পর্বের মতো একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা এ পর্বেও বলবৎ রয়েছে। প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করছেন সা‘দ অনুসারীরা। এদিকে আজ দ্বিতীয় পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন হওয়ায় দেশের বৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে ইজতেমা ময়দানে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের প্রথম পর্ব। চার দিন বিরতির পর দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিচ্ছেন মাওলানা সাদ কান্দলভীর অনুসারীরা। এরইমধ্যে ভরে গেছে প্রায় পুরো ইজতেমা মাঠ। জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়, ধর্মীয় আলোচনা শোনা ও জিকির-আসকারের মাধ্যমে সময় কাটাচ্ছেন ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা।
এদিকে, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসার অনুমতির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে তার অনুসারী বাংলাদেশ মুসল্লি পরিষদ। তবে ইতোমধ্যে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ থেকে সাদের তিন ছেলেসহ ১৪ জনের একটি জামাত ইজতেমায় এসেছে বলে জানা গেছে।