টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আজ রোববার শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মোনাজাতে অংশ নেন লাখো মুসল্লি। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলোভীর বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদ। ময়দানের ভেতরে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা অবস্থান নেন বিভিন্ন সড়ক, আশপাশের অলিগলি, বাড়ির ছাদে। মোনাজাত প্রচারের জন্য পুরো টঙ্গীসহ আবদুল্লাহপুর, বিমানবন্দর সড়কেও মাইক লাগানো হয়।
টানা ২৬ মিনিটের মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি, কল্যাণ কামনা করা হয়। রোববার বেলা ১১টা ১৭ মিনিটের সময় আখেরি মোনাজাত শুরু হয় এবং ১১টা ৪৩ মিনিটের সময় শেষ হয়। মোনাজাতে চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে মুসল্লিরা আল্লাহর কাছে মুসলিম বিশ্বের সুখ শান্তি কামনা করেছেন।
এ সময় মোনাজাতে আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর ও ইজতেমা ময়দানের আশপাশ। নিজের গুনাহের মুক্তি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় অশ্রুসজল চোখে প্রার্থনা করেন লাখো মুসল্লি। পুরো ইজতেমা ময়দান যেন পরিণত হয় ধর্মীয় নগরীতে। এদিকে মোনাজাত শেষে বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন মুসল্লিরা। যানবাহন না থাকায় হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তারা। টঙ্গী স্টেশনেও রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে বিশেষ বাস ও ট্রেনের ব্যবস্থা ছিল। এ ছাড়া মোনাজাতে মুসল্লিদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে বিশেষ ট্রাফিক পরিকল্পনা নেয় পুলিশ।
ইজতেমার আয়োজকেরা জানান, ফজরের নামাজের পর থেকে চলে ধর্মীয় বয়ান। হিন্দিতে ধর্মীয় বয়ান করেন ভারতের মাওলানা মুফতি মাকসুদ। বাংলা তরজমা করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। বয়ান শেষে হেদায়াতি বয়ান তথা দিক নির্দেশনামূলক বয়ান হয়। হেদায়াতি বয়ান করেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। এরপর আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন তিনি। এদিকে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকে গাজীপুরের তিন সড়ক, মহাসড়কে যানচলাচল সীমিত করে পুলিশ। মোনাজাত শেষে রোববার দুপুর ২টার পর সড়কগুলো আবার খুলে দেওয়া হবে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।