ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করতে পশ্চিমা দেশগুলোর সেনা পাঠানো নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পশ্চিমা দেশগুলোকে লক্ষ্য করে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আহ্বানে সাড়া দিয়ে নেটোভুক্ত ও নেটোমিত্র দেশগুলোর একটি সংঘ গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করতে দেশটিতে সরাসরি সেনা পাঠানোর বিষয়ে পরিকল্পনা চলমান। এ অবস্থায় পুতিনের তরফ থেকে এ হুঁশিয়ারি এল।
স্টেট অব দ্য ন্যাশন ভাষণে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনে কোনো দেশ সেনা পাঠালে তাকে দুঃখজনক পরিণতি ভোগ করতে হবে।’ পশ্চিমাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা পাঠানোর সম্ভাব্যতার একটি ঘোষণা দিয়েছে তারা। এ ধরনের যেকোনো হস্তক্ষেপের জন্য অনেক বেশি দুঃখজনক পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
সরাসরি পরমাণু যুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়ে পুতিন বলেন, ‘তাদের এটা বুঝতে হবে যে, আমাদের কাছেও এমন অস্ত্র আছে, যা তাদের অঞ্চলে সরাসরি আঘাত হানতে সক্ষম। পশ্চিমারা যেসব পদক্ষেপের কথা বলছে, তা পরমাণু যুদ্ধের সত্যিকারের ঝুঁকি তৈরি করছে, যা গোটা সভ্যতাকেই ধ্বংস করে দেবে।’
পুতিন তাঁর বক্তব্যে সতর্ক করে বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো শুধু রাশিয়া ফেডারেশনকেই চাপে রাখতে চায়—এমনটি নয়। তারা এমন একটি ক্ষেত্র চায়, যেখানে তারা যা খুশি তা করতে পারে। বিপরীতে রাশিয়ার করণীয় হচ্ছে তার পশ্চিম সামরিক অঞ্চলকে আরও শক্তিশালী করা। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে তিনি সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটো জোটভু[ক্ত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার সাথে ফিনল্যান্ডের বিস্তৃত স্থলসীমান্ত রয়েছে। এই সামগ্রিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে পুতিন সতর্ক করে বলেন, ‘রাশিয়ায় হামলা চালানোর বিষয়টি যারা ভাবছে, তাদের অতীতে এমন পদক্ষেপ গ্রহণকারীদের পরিণতি মনে রাখা উচিত। এবার এমন কিছু হলে, তার পরিণতি আগের চেয়ে ভয়াবহ হবে।’
ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে পুতিন বলেন, ‘আমাদের ইউনিটগুলো দৃঢ়তার সাথে অবস্থান ধরে রেখেছে। তারা আত্মবিশ্বাসের সাথে নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করছে এবং আরও নতুন নতুন অঞ্চলকে মুক্ত করছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অভাবিত যুদ্ধ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।’