পবিত্র রমজান মাসে আবারও অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণের লাইনে দাঁড়ানো ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। এতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১১ বেসামরিক, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া নুসেইরাত এবং বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ১৭ জন।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানের মধ্যেই দখলদার ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা শহরের কুয়েত চত্বরে ত্রাণের জন্য ছুটতে থাকা নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার গুলি চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান কয়েকজন। আহত হয়েছেন শতাধিক। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, হেলিকপ্টার থেকে টার্গেট করা হয় গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের।
পবিত্র রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকর তো দূরের কথা, উল্টো হামলার মাত্রা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। গেল ২৪ ঘণ্টায় নুসেইরাত এবং বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বোমা বর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন বহু বেসামরিক নাগরিক। নুসেইরাতেও হামলার টার্গেট ছিল ত্রাণ সরবরাহ কেন্দ্র। এছাড়া উত্তরাঞ্চলে অসংখ্য মানুষের আশ্রয়স্থল একটি আবাসিক ভবনেও চালানো হয়েছে রক্তক্ষয়ী হামলা। সেখানেও বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নেতানিয়াহু প্রশাসনের এমন নৃশংস আচরণে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে বন্দি বিনিময় প্রস্তাব দেয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। অবশ্য এরইমধ্যে তা মেনে না নেয়ার ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে ইসরাইল। হামাসের দাবিকে ‘অবাস্তব’ বলে আখ্যা দিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় গাজায় ৩১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।