ইতালিয়ান ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে ১৯৬০ সালে সোমালিয়ার জন্ম।১৯৯১ সালে সামরিক শাসনের উৎখাতের পরে নৈরাজ্যের মধ্যে পড়ে দেশটি।পরের দুই দশকের বেশি সময় যুদ্ধবিগ্রহে বিধ্বস্ত সোমলিয়াতে কার্যকর কোন সরকার ছিল না।এতে এই অঞ্চলে বিদেশি মাছ ধরা নৌযানের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়তে থাকে।যার পরিপেক্ষিতে স্থানীয় জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। ফলে, তারা দস্যুবৃত্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে।
কয়েক বছর তাদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ওই রুটে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ায়।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে সোমালিয়ান জলদস্যু বেশ নজর কেরেছে।বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করে সোমালিয়া উপকূলে নেয়ার পর নতুন করে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি কার্গো জাহাজ জিম্মি করে সোমালীয় জলদস্যুর। এবার ডাকাতি করা ওই কার্গো জাহাজ আটকে দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। তাদের আত্মসমপর্ণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। আর ভারতীয় গণমাধ্যমও এ খবর গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) ২০২৪ খ্রিঃ ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর মাল্টিজ পতাকাবাহী রুয়েন কার্গো জাহাজ ছিনতাই করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজে গুলি চালালে ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের জাহাজটি আটকে দেয়। এ সময় জাহাজে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের ছেড়ে দেয়ারও আহ্বান জানানো হয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে।
ছিনতাইকৃত ওই মাল্টিজ জাহাজ ব্যবহার করেই বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাই করা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এমভি আবদুল্লাহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে বাংলাদেশি ২৩ নাবিক এখনও সুস্থ ও নিরাপদে আছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি জানানা, সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও জাহাজটির নাবিকদের সুস্থভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্ত করতে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।