চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের নাম খোয়াজনগর লালমিয়া কন্ট্রাক্টর সড়ক,যেটিকে সবাই আয়ুব বিবি কলেজ রোড নামেও সম্বোধন করেন।এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানার অত্যন্ত পাঁচ হাজারের অধিক নিয়মিত যাতায়াত করে যাচ্ছেন। ব্রীজঘাট টু মইজ্জারটেক সংযোগ সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে লালমিয়া কন্ট্রাক্টর জামে মসজিদ পর্যন্ত দুভাগে বিভক্ত হয়ে গত বছরে শুরু হয় কোটি টাকার প্রকল্পের এই সড়ক নির্মাণ কাজ।যাঁর মধ্যে ছিলো দিল আহমদ সড়ক সংলগ্ন একটি কালভার্ট নির্মাণও।কিন্তুু গত এক বছরেও শেষ হয়নি সড়কটির সংস্করণ কাজ।অপরদিকে কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও সংযোগ দেয়া হয়নি মূল সড়কের সঙ্গে।যাঁর কারণে কালভার্টটির উপকার ভোগ করতে পারছেন না এলাকাবাসী।
খোয়াজনগর কলেজ রোডের প্রধান ফটকটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।খোয়াজনগর খালের উপর দিয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নতুন ব্রীজ নির্মাণ ও সড়কের কারণে মূল সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত স্থানটি ঢালু থেকে অনেকটা খাদে হওয়ার কারণে গাড়ি উল্টে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা।খানাখন্দে ভরা এ অংশে গত একবছরে অর্ধশতাধিক পথচারী দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।যাঁর কারণে সড়কটি এখন খোয়াজনগর বাসীর দূঃখ এবং মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ সড়কটির আটকে থাকা সংস্করণ কাজের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য চলতি বছরের গত ২৯ফেব্রুয়ারী কথা বলি কর্ণফুলী উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে।তখন তিনি প্রতিবেদন প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে তিন দিনের মধ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন এবং মাত্র ১৫দিনের মধ্যে সড়কের অসম্পূর্ণ কাজ গুলো সম্পূর্ণ করে দেওয়ার কথা দেন।
কিন্তুু ১৫দিনের কথা দিয়ে ১৭দিনেও সড়কের কোনো পরিবর্তন না করায় আজ(১৭মার্চ)রবিবার,আমরা আবারও সরজমিন থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করি উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে। তখন তিনি মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রতিবেদককে জানান তিনি সরজমিন পরিদর্শন করেছেন এবং টিকাদারকে কাজ করার জন্য বলেছেন। তিনি সরেজমিনে আসলে সাংবাদিকদের জানানোর কথা থাকলেও কেন জানাননি এবং ১৫দিনের মধ্যে কাজগুলো সমাপ্ত করে দেওয়ার কথা থাকলেও কেন কাজ এখনো শুরু হয়নি জানতে চাইলে,প্রশ্নেন জবাবে তিনি বলেন আমি এ মুহূর্তে টিকাদার কে কল দিচ্ছি এবং আপনাদের কে জানাবো। এখন প্রশ্ন হলো আধো কি এ সড়কের সংস্করণ কাজ হবে নাকি কোনো বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটলে তাঁরপর টনক নড়বে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের।