নীলফামারীর ডোমারে শ্বশুরের বিরুদ্ধে ছেলের বউকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ডোমার থানায় গত সোমবার রাতে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ছেলের বউ। আজ মংগলবার বিকালে আসামি অনিল চন্দ্র রায়কে নীলফামারী জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার চিকনমাটি দোলাপাড়ার লতা রানী রায়ের (ছদ্মনাম) (১৯) সাথে ২০২২ সালে প্রেম- ভালোবাসা সম্পর্ক করে একই উপজেলার মির্জাগঞ্জ হলহলিয়ার অনিল চন্দ্র রায়ের পুত্র রনি চন্দ্র রায়ের (২০) এর সাথে হিন্দু সনাতণ ধর্মানুসারে বিবাহ হয়। সেনেটারী মিস্ত্রী রনি কাজের সুত্রে প্রায় বাড়ির বাহিরে থাকত। গত ৭ই মার্চেও স্বামী রনি কাজের সুত্রে বাহিরে অবস্থান করছিল। ওই দিন শ্বাশুড়ি বিবাহের দাওয়াত খাইতে মামা শ্বশুরের বাড়িতে অবস্থান করছিল। ওই দিন লতা রানী রাতের খাবার খেয়ে সাড়ে দশটায় শুয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক ১১ টায় লতা রানীকে একা পেয়ে স্বামী রনির বাবা ও শ্বশুর অনিল চন্দ্র রায় (৫০) ঘরের ভিতরে কৌশলে হাত ঢুকাইয়া দরজার লাঠি সরাইয়া দরজা খুলে ভীতরে প্রবেশ করলে শব্দ শুনে লতার ঘুম ভেঙে যায়। লতা চিৎকার করার চেষ্টা করলে মুখ চাপিয়া ধরিয়া চুপ থাকতে বলে।এ সময় বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে লতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। বাড়িতে একা পাইলেই শ্বশুর অনিল চন্দ্র রায় ধারাবাহিক ভাবে লতাকে বিভিন্ন ধরনের কু- প্রস্তাব দেয়।
এমন অবস্থায় গত সোমবার রাতে (১৮ ই মার্চ) ডোমার থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধনী/ ০৩) ৯(১)ধারায় মামলা দায়ের করে। যার নম্বর ১০। গত সোমবার রাতেই আসামি অনিল চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করে ডোমার থানা পুলিশ। এ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী। ডোমার : নীলফামারীর জেলা আদালতে শ্বশুর অনিলকে প্রেরন করে ডোমার থানা পুলিশ।