বাজার মনিটরিং টিমের অভিযানের খবর পেয়ে চালের দোকান বন্ধ করে পালিয়েছেন দোকানীরা। দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনী বাজারে খাদ্য অধিদপ্তরের অভিযানে দেখা গেছে এই চিত্র। পরে পলাতক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, রমজানে গত কয়েকদিন থেকেই সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। ভোক্তাদের অভিযোগ, রমজানে চালের চাহিদা কম থাকলেও কারসাজি করে দাম বাড়িয়েছে বিক্রেতারা। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার পরে মতিঝিল এজিবি কলোনির বাজারে, মনিটরিং টিম বিভিন্ন পন্যের দোকানে অভিযান চালায়। আদা, রসুন, ফলের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে মূল্যতালিকা টানানো না থাকায় তাদের সতর্ক করে মনিটরিং টিম। মূল্যতালিকা অনুযায়ী দাম না রাখায় একটি দোকানকে করা হয় এক হাজার টাকা জরিমানা। পিস হিসেবে নয়, কেজিতে তরমুজ বিক্রির অভিযোগে বিভিন্ন দোকানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও প্রমাণ না থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারেনি মনিটরিং টিম।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া খাদ্য অধিদপ্তরের আইন উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, ‘তারা আসলে মূল্য তালিকাটা প্রোপারলি লাগায় না এবং এটা আপডেট করে না। আমরা যখন সাধারণত মনিটরিংয়ে যাই তখন দেখা যায় তারা এটা লাগায়। এটা তারা লিখে রাখে এবং পেছনে রেখে দেয়। আলটিমেটলি এটা কিন্তু জনগনের সাথে একটি বড় প্রতারণা।’ কোনো কারণ ছাড়াই দেশের পাইকারি বাজারে প্রকারভেদে চালের দাম ১ থেকে ২ টাকা করে বেড়েছে। খুচরা বাজারে তা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। দিনাজপুর, নাটোর, কুষ্টিয়া, যশোরের বাজারে বেড়েছে চালের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অটোরাইস মিলাররা সিন্ডিকেট করে বাজারে চালের দাম বাড়িয়েছে। তাদের গোডাউনে পর্যাপ্ত পরিমাণে কম দামে ধান কেনা থাকলেও এখন বেশি দামে চাল বিক্রি করছে।