সুইডেনে একাধিকবার পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটানো সালওয়ান মোমিকা (৩৭) নামের এক ইরাকি ব্যক্তিকে নরওয়েতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মোমিকাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ‘বাকস্বাধীনতা’ এবং প্রকাশ্যে কোরআন পোড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাপী একইসঙ্গে খ্যাতি ও কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি সুইডেন থেকে নরওয়েতে চলে যান মোমিকা।
ইন্ডিয়া টিভি নিউজের খবর অনুসারে, সালওয়ান মোমিকা গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সময় সুইডেনে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত। গত সপ্তাহে তিনি একটি সংবাদপত্রকে বলেছিলেন যে, তিনি প্রতিবেশী নরওয়েতে আশ্রয় চেয়েছেন। ইন্ডিয়া টুডে বলছে, মঙ্গলবার রেডিও জেনোয়া জানিয়েছে যে, ৩৭ বছর বয়সী সালওয়ান মোমিকাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। যদিও এখন পর্যন্ত বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এক্সে দেয়া রেডিও জেনোয়ার এক পোস্টে বলা হয়, ‘ইরাকি উদ্বাস্তু এবং ইসলামিক সমালোচক সালওয়ান সাবাহ মাত্তি মোমিকার প্রাণহীন দেহ নরওয়েতে পাওয়া গেছে। মোমিকা সুইডেনে বিক্ষোভ সংগঠিত করার জন্য পরিচিত ছিলেন, যেখানে তিনি প্রকাশ্যে বেশ কয়েকবার কোরআন পুড়িয়েছেন।’
জানা গেছে, খ্রিস্টান থেকে নাস্তিক হওয়া মোমিকা নিজেকে একজন ‘উদার নাস্তিক সমালোচক এবং চিন্তাবিদ’ হিসেবে বর্ণনা করতেন। তবে একই প্ল্যাটফর্ম দাবি করেছে যে, যারা মোমিকার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে এক্সে পোস্ট দিয়েছিল, সেই পোস্টটি তারা এখন মুছে দিয়েছে। বলা হয়, ‘যারা মোমিকার মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছিল, তারা সেই টুইটটি (১০ লাখেরও বেশি ইমপ্রেশনসহ) মুছে দিয়েছে। আমরা আরও নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করছি।’
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়া টিভি নিউজ