স্পেনের প্রতিশোধের জন্য বোধহয় এর চেয়ে ভালো কোনো মঞ্চ ছিল না। এক বছর আগে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে এই ‘লা রোহা’দের বিদায় করেছিল ইংল্যান্ড। এবার বিশ্বকাপের ফাইনালেই যেন তার মধুর শোধ নিলো স্পেনের মেয়েরা। প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল স্প্যানিশ মেয়েরা।
রোববার (২০ আগস্ট) সিডনিতে ইংল্যান্ড নারী দলকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়ে স্পেনের মেয়েরা। ২০১০ সালে স্পেনের পুরুষ দলও ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, জার্মানি ও জাপানের পর পঞ্চম দল হিসেবে নারী ফুটবল বিশ্বকাপ জিতলো স্পেন। ফাইনালের এ ম্যাচটিতে দারুণ প্রতিযোগিতা হয়, প্রায় সমানে সমানে খেলে দু’দল। পুরো সময়ে ৫৮ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখেছিল স্পেন। বাকি ৪২ শতাংশ সময় বল ছিল ইংল্যান্ডের মেয়েদের পায়ে।
স্পেনের বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল ২০১৫ সালে কানাডায়। প্রথমবার বাদ পড়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত পরের আসরে গ্রুপপর্ব টপকে নকআউট পর্বে উঠে তারা পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। সেখান থেকেই বিদায় নিয়েছিল স্পেনের মেয়েরা। সেই স্পেন নিজেদের তৃতীয় অংশগ্রহণে করলো বিশ্বকাপ বাজিমাত।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারানোর মাধ্যমে স্পেন একটা প্রতিশোধও নিয়েছে। গত বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিকদের কাছে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল স্প্যানিশ মেয়েরা। ঠিক ১১ মাসের মাথায় সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিশোধ নিয়ে নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় সাফল্য তুলে নিয়েছে জাভি-ইনিয়েস্তার দেশের মেয়েরা।