চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে কর্ণফুলী থানা পুলিশ। নিহত যুবকের নাম তৌহিদুল ইসলাম(২৬),সে খোয়াজনগর ৪নং ওর্য়াডের লতিফ মাঝির বাড়ির মৃত আব্দুল লতিফ মাঝি ও নুর বেগম দম্পতির পুত্র।পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে সে সবার ছোট।
বুধবার(২৪ এপ্রিল)সকালে উপজেলার খোয়াজনগর ৪নং ওর্য়াডের এমএন ছাফার মালিকানাধীন আফসিন ভিলার ২য় তলার ২০১নং কক্ষ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে দুদিন আগেই যুবকটি গলায় ফাঁস দিয়েছে,তাই লাশে পচন ও গন্ধ ছুটছে।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন,সহকারী কমিশনার(এসি)গালিব এবং কর্ণফুলী পুলিশের তদন্ত কমকর্তা মেহেদী হাসান।তদন্ত কমকর্তা মেহেদী হাসান বলেন,ভাড়া বাসায় যুবকের ঝুলন্ত লাশের খবর পেয়ে আমাদের ফোর্স পাঠায়।তখন তাঁরা কক্ষটি ভিতর থেকে বন্ধ পেয়ে দরজা খুলে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের লাশটি দেখতে পায়।পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করি।মনে হচ্ছে লাশটি দুদিন আগে ফাঁসি খেয়েছে, প্রচন্ড গরম ও অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে লাশ পঁচতে শুরু করেছে।
আফসিন ভিলার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইসলাম বলেন,সে আমার বিল্ডিং এ গত ৫ মাস যাবৎ ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া হিসেবে ভাড়া থাকত।গত ২২তারিখ সন্ধ্যায় তাকে দোকানে নাস্তা খেতে দেখেছি,এরপরে আর দেখা হয়নি।গতকাল এবং আজ সকালে অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরেও রুম থেকে বের না হওয়ায় এবং কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় মনে সন্ধেহ হলো জানালা দিয়ে ভিতরে দেখার চেষ্টা করি।তখন ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি দেখতে পেয়ে কর্ণফুলী থানা পুলিশ কে খবর দিই।পরে পুলিশ এসে বন্ধ দরজা খুলে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহতের বড় ভাই দিদার জানান,তৌহিদ গত পাঁচ মাস যাবৎ এমএন ছাফার বিল্ডিং এ ব্যাচেলর হিসেবে ভাড়া থাকত।পেশায় সে একজন পোশাক শ্রমিক,ডিভাইন গামেন্টস নামক একটি কারখানায় সে চাকরি করতো।আজ সকালে খবর পায় আমার ভাই তার ভাড়া বাসায় ফাঁসি খেয়েছে।
নিহতের মা নুর বেগম বলেন,আমার ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ আমার কথা হয় ঈদের দুদিন পর,তাঁর সঙ্গে পারিবারিক কোনো ঝামেলা ছিলো না।কেন যে সে এমনটা করলো বুঝতে পারছি না।