ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ইসরায়েলের তিন সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এরপর গাজা সংলগ্ন কেরাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজায় মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছানোর অন্যতম করিডর এই কেরাম শালোম ক্রসিং। এটি বন্ধের ফলে গাজার মানবিক সংকট আরও প্রকট হবে বলে আশঙ্কা করছেন মানবাধিকারকর্মীরা।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলছে, গতকাল রোববার দক্ষিণ গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছের একটি এলাকা থেকে ১০টি রকেট হামলা চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এতে তিন সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন।
এদিকে মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে কায়রোতে গত দুই দিন ধরে আলোচনা চলছে হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের মধ্যে।
সর্বশেষ বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, গতকাল রোববার শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন তাদের প্রতিনিধিদল হামাসের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে কায়রো থেকে কাতারে যাবে।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, মিশরের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার সঙ্গে রয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রধান উইলিয়াম বার্নস। তিনিও আলোচনার জন্য মিশরের কায়রো থেকে কাতারের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ও ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির জন্য ৪০ দিনের যুদ্ধবরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে বিবিসি উল্লেখ করেছে।
হামাস এই প্রস্তাবকে ‘ইতিবাচক’ বলেছে এবং তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দিকে বেশি জোর দিচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল রোবার এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন পরিস্থিতি মেনে নিতে প্রস্তুত নই যেখানে হামাসের সেনারা বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে এসে আবার গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এটি ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য একটি ভয়ঙ্কর পরাজয় হবে।’
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এর পর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।