‘গাধা’ শব্দটি হরহামেশাই ব্যবহার হয় আমাদের দেশে। কেউ একটু বোকামি করলেই তাকে গাধার সঙ্গে তুলনা করা হয়। আবার যারা খুব বেশি পরিশ্রম করেন তাদের কাজকে অনেকেই বলেন গাধার খাটুনি খাটছে লোকটা। এ থেকেই বোঝা যায় এই প্রাণীটি কতটা পরিশ্রম করে মনিবের জন্য। ইতিহাস বলছে, ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে মানব সেবার কাজ করছে গাধা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই দেখতে পাওয়া যায় এই প্রাণী। তবে প্রাণীটির বিচরণ সবচেয়ে বেশি আফ্রিকা মহাদেশে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত ২০২২ সালের গ্লোবাল ডাঙ্কি পপুলেশন অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গাধা রয়েছে ইথিওপিয়াতে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে গাধার সংখ্যা ৯৯ লাখ ৩০ হাজারটি। এরপরই অবস্থান সুদানের। দেশটিতে গাধার সংখ্যা ৭৬ লাখ ৫০ হাজার। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আরেক আফ্রিকান দেশ শাদ। এই দেশে গাধার সংখ্যা ৩৭ লাখ ১০ হাজারটি।
এদিকে ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের একটি গবেষণাতেও জানানো হয়েছে যে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গাধা রয়েছে ইথিওপিয়ায়। গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বে চার কোটি ৫৮ লাখ গাধা রয়েছে। এরমধ্যে ১৯ শতাংশই ইথিওপিয়ায়।
পরিশ্রমী প্রাণী গাধাকে উৎসর্গ করে বিশ্বে পালিত হয় একটি দিন। ২০১৮ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে এই দিবস। এই দিবসের শুরু করেন বিজ্ঞানী ও মরুভূমির প্রাণী গবেষক আর্ক রাজিক। তিনি একজন বিজ্ঞানী এবং মরুভূমির প্রাণী নিয়ে কাজ করেন। এক সময় তিনি বুঝতে পারেন গাধারা মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ করে, সেই পরিমাণ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এজন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন। তারপর সেখানে গাধাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য প্রচার করতে শুরু করেন। এরপর থেকে প্রতি বছরের ৮ মে সার্বজনীনভাবে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব গাধা দিবস।