রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছে বাঘ দম্পতি শিউলি-কদম। সোমবার (২১ আগস্ট) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চার মাস আগে ১৮ এপ্রিল এই তিন শাবকের জন্ম হলেও এ তথ্য নিরাপত্তার স্বার্থে এত দিন জানায়নি কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, জন্মের পর প্রথম আট মাসে ব্যাঘ্রশাবকের মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে।তাই এ সময় পার না হওয়া পর্যন্ত ব্যাঘ্রশাবকের জন্মের খবর জানাতে চায়নি তারা।
ব্যাঘ্রশাবকের জন্মের খবর এত দিনেও কেন জানানো হয়নি―এমন প্রশ্নে জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর মুজিবুর রহমান জানান, ‘আসলে নিরাপত্তার স্বার্থে তথ্য গোপন রাখা হচ্ছিল। কারণ আগে তাদের ছবি তোলার জন্য একটা সুযোগ দেওয়া হতো; একসময় খাঁচায় রাখা হতো, পরে ওই বাচ্চাগুলো আর বাঁচানো যায়নি। তাই কিছুদিন পর নাম রাখাসহ জানান দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এর আগে জাতীয় চিড়িয়াখানায় যেসব ব্যাঘ্রশাবক মারা গেছে, সেগুলো আট মাসের মধ্যে মারা গেছে। তাই এই আট মাসকে অনিরাপদকাল বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ। নতুন এই তিনটি ব্যাঘ্রশাবকের জন্মের পর চিড়িয়াখানায় এখন বাঘের সংখ্যা ১৪।
জানা যায়, ২০১৬ সালে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ‘টোকিও’ ও ‘মৈত্রী’ নামে দুটি ব্যাঘ্রশাবকের জন্ম হয়।জন্মের কয়েক মাস পর শাবক দুটি মারা যায়। তারপর ২০২১ সালে করোনার মধ্যে বাঘ দম্পতি টগর-বেলির ঘরে আরো দুটি বাচ্চার জন্ম হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ঘটা করে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শাবক দুটির নাম রাখেন ‘দুর্জয়’ ও ‘অবন্তিকা’। তার কয়েক মাস পর শাবক দুটি মারা যায়। এসব ঘটনার পর থেকে জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ব্যাঘ্রশাবকের তথ্য গোপন রাখার চেষ্টা করছে। গত বছর ৫ এপ্রিল টগর-বেলির ঘরে জুঁই, জবা ও রঙ্গন নামে তিনটি শাবকের জন্ম হয়েছিল। তার মধ্যে রঙ্গন জন্মের পর থেকে দাঁড়াতে পারত না। রঙ্গনের তথ্য গোপন রেখে জুঁই ও জবার জন্মের তথ্য জানিয়েছিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠলে কয়েক মাস পর রঙ্গনের জন্মের তথ্য জানায় তারা। এবার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ শিউলি-কদমের তিনটি শাবকের জন্মের তথ্য চার মাস গোপন রাখল।