পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় তালাকপ্রাপ্ত শ্যালিকার ঘর-সংসার ফের জোড়া দিতে কবিরাজের দেয়া তাবিজ রাখতে গিয়েছিলেন বোন জামাই। শ্যালিকার নাম সাজেদা খাতুন। বোন জামাইয়ের নাম মো. রিমন সরকার। কিন্তু বাড়ির পাশে তাবিজ পোঁতার সময় রিমনকে দেখে ফেলায় হাতাহাতি হয় শ্যালিকার সাবেক স্বামী হাসিনুর রহমান হাসুর সঙ্গে। একপর্যায়ে ভায়রা হাসুকে হত্যা করে রিমন। হত্যাকে ভিন্নখাতে নিতে হাসুর বাড়িতে সিঁদ কেটেও রাখে রিমন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পাবনা পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুনসী।
রিমনের স্বীকারোক্তি অনুসারে, ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ আসামিকে নিয়ে হাসুর বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে হত্যায় ব্যবহৃত লোহার শাবল ও দা উদ্ধার করেছে। ভাঙ্গুড়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ধৃত আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র হাসুর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। সোমবার সকালে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।
পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, হাসুর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সাজেদা পুনরায় ঘর করতে কবিরাজের কাছ থেকে একটি তাবিজ নিয়ে আসেন। কবিরাজের পরামর্শ মতে সাজেদা ওই তাবিজ হাসুর বাড়িতে মাটির নিচে পুঁতে রাখতে ছোট বোনের স্বামী রিমনের সাহায্য চান। সেই অনুযায়ী রিমন ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে হাসুর বাড়িতে গিয়ে ওই তাবিজ মাটিতে পুঁতার সময় হাসু তাকে দেখে ফেলেন।
গ্রেপ্তারকৃত রিমন সরকার (২৮) ভাঙ্গুড়া উপজেলার রাঙ্গালিয়া পশ্চিমপাড়ার আতিকুর রহমানের ছেলে। নিহত হাসিনুর রহমান হাসু (৫৩) উপজেলার চৌবাড়িয়া হারোপাড়ার মৃত সোবাহান সরদারের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ডিএম হাসিবুল বেনজীর, সহকারী পুলিশ সুপার আরজুমা আকতার ও আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমানসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।