বিশ্বের প্রধান চাল উৎপাদক দেশ ভারত চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় সারা বিশ্বেই বাড়ছে চালের চাহিদা ও দাম। এমন পরিস্থিতিতে চালের বিকল্প উৎস হতে যাচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভিয়েতনাম। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটি। বিশ্বের মোট চালের ৪০ ভাগেরই জোগান দেয় ভারত। তবে চলতি বছরের শুরুতে খরা আর পরে বন্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় টালমাটাল দেশটির আভ্যন্তরীণ বাজার। ফলে জুলাইয়ে বাসমতি ছাড়া চাল রপ্তানি বন্ধ করে দিল্লি। শুল্ক আরোপ করা হয় সেদ্ধ চাল রপ্তানিতেও।
চাল রপ্তানিতে ভারতের পরেই থাইল্যান্ড। মে মাসে দেশটিতে স্বাভাবিকের তুলনায় ২৬ শতাংশ কম বৃষ্টি হওয়ায় উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হয়। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে চাল রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ মিয়ানমারও। এ পরিস্থিতিতে, চালের অন্যতম উৎস হতে যাচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল উৎপাদক দেশ ভিয়েতনাম। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এ বছর প্রায় ২ লাখ টন উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্য তাদের।
ভিয়েতনাম কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি উৎপাদন বিভাগের পরিচালক নুগুয়েন নু কুওং জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে চালের যে ঘাটতি রয়েছে তার পূর্ণ সুযোগ নিতে চায় ভিয়েতনাম। আমাদের এমন কিছু জাতের ধান রয়েছে যা খুব কম সময়েই ঘরে তোলা যায়। তাই এ বছর অতিরিক্ত ৫০ হাজার হেক্টর ধান চাষ করা সম্ভব। এ বছরের প্রথম সাত মাসে চাল রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ বেড়েছে। কয়েক বছর ধরে প্রতি কেজি ধানের দাম ছিল ২২ থেকে ২৩ সেন্ট। ব্যবসায়ীরা যখন প্রতি কেজির দাম ২৮ সেন্ট প্রস্তাব করে, তখন বেশ খুশি হয়েছিলাম। আমার তখন ধারণাও ছিল না এই দাম আরও বাড়তে পারে। তবে অনেক বিশ্লেষক বলছেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞায় যে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে তা ভিয়েতনাম পূরণ করতে পারবে না। কারণ ভারতের তুলনায় ভিয়েতনামের চালের দাম বেশি। ভিয়েতনামের রপ্তানি চালের দাম প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।