...
/
/
/
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সম্ভাবনার নতুন পথ, বদলে গেল নগরের মানচিত্র
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সম্ভাবনার নতুন পথ, বদলে গেল নগরের মানচিত্র
Relaks News 24
আপলোড সময় : 13 ঘন্টা আগে
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সম্ভাবনার নতুন পথ, বদলে গেল নগরের মানচিত্র
Print Friendly, PDF & Email

ঘণ্টার হিসাবটা এবার নেমে এসেছে ১২ মিনিটে। কেবল গতি নয়, আধুনিক নির্মাণ আর দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনা বদলে দিয়েছে নগরের মানচিত্র। পুরো প্রকল্পের ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। প্রায় ২০ কিলোমিটার এই পথের শেষ প্রান্ত চিটাগং রোড পর্যন্ত ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এটিকে সম্ভাবনার নতুন পথ বলছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা।

সরেজমিন দেখা যায়, উৎসবের রঙে সেজেছে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। তবে এত সহজে তৈরি হয়নি এই পথ। দফায় দফায় বদলেছে তারিখ। পাড়ি দিতে হয়েছে নানা প্রতিকূলতা। তবে সব ছাপিয়ে চোখের সামনে এবার বাধাহীন চলার হাতছানি। পুরো প্রকল্প বিমানবন্দরের কাওলা থেকে চিটাগং রোডের কুতুবখালী। মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার। র‌্যাম্প আছে ৩১টি। তাই ওঠানামার সেই পথসহ মোট দৈর্ঘ্যে ২৭ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে এই উড়াল পথের দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ বর্গকিলোমিটার।

কাজ শুরু হয় ১ জানুয়ারি ২০২০। পিপিপির আওতায় এই প্রকল্প মোট তিনটি ধাপে কাজ হচ্ছে। প্রথম ধাপ বিমানবন্দর থেকে বনানী ৭.৪৫ কিলোমিটার। দ্বিতীয় ধাপ বনানী থেকে মগবাজার ৫.৮৫ কিলোমিটার। তৃতীয় ধাপ মগবাজার লেভেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী ৬.৪৩ কিলোমিটার। তবে প্রথম দফায় চালু হচ্ছে তেজগাঁও পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ধাপ আর দ্বিতীয় ধাপের কিছু অংশ।

সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, ‘নতুন করে এই প্রকল্পের জন্য আলাদা করে আমরা শুধু জমি অধিগ্রহণই করিনি, সমন্বয় করতে হয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। বিশেষ করে রেলওয়ে, সিলিভ এভিয়েশন, উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জমি রয়েছে। তাদের সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজগুলো করতে হচ্ছে। এই সমন্বয় করেই নির্ধারিত সময়ে কাজটি শেষ করা যাবে বলে আশা করছি।’

শুরুর যাত্রার এই পথে ১১ কিলোমিটারে ১৫টি র‌্যাম্প থাকলেও চালু হচ্ছে ১৩টি র‌্যাম্প দিয়ে। ছয়টি টোল প্লাজা। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। যার মধ্যে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বহন করছে বাংলাদেশ সরকার। রেললাইনের সমান্তরাল এই পথ হচ্ছে চার লেনের। নির্মাণশৈলী, বিশেষ করে র‌্যাম্পগুলো সড়কে মেলাতেও মুনশিয়ানা দেখিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সাবেক সেতু সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আরেকটি সাফল্যের প্রতীক এটি। এর ফলে নগরবাসী সড়ক বিভাগ থেকে তাদের সেবাটা পাবে। এটা সরকারের জন্যও একটা ইতিবাচক প্রকল্প বলে মনে করি। পিপিপি প্রকল্প হিসেবে আমি মনে করি, যারা এটা বাস্তবায়ন করছে, তাদের জন্য একটি লাভজনক প্রকল্প।’ পুরো প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। সেই হিসাবে আসছে বছর জুনেই কুতুবখালী পর্যন্ত চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

নিউজটি করেছেন : মাসুদ রানা (ঢাকা)
{{ reviewsTotal }}{{ options.labels.singularReviewCountLabel }}
{{ reviewsTotal }}{{ options.labels.pluralReviewCountLabel }}
{{ options.labels.newReviewButton }}
{{ userData.canReview.message }}

এ জাতীয় আরো খবর

Log in

Email*
Password*

Forgot your password?

Not registered? Join us FREE

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.