দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ আজ শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা সাড়ে ৩টায় শেরে বাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে এজন্য আয়োজন করা হয়েছে সুধী সমাবেশ। পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি ওঠানামার র্যাম্প (যানবাহন ওঠানামার ব্যবস্থা) রয়েছে। তবে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশে ১৫টি র্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে বিমানবন্দর এলাকায় দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ও ফার্মগেট এলাকায় একটি স্থানে যানবাহন ওঠানামা করতে পারবে। তবে শুরুতে ১৩টি স্থান দিয়ে ওঠানামা করা যাবে। বাকি দুটির কাজ এখনও চলছে।
যারা ফার্মগেট, মিরপুর, পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোড, শাহবাগ, সেগুনবাগিচা থেকে বিমানবন্দর যেতে চান তাঁদের বিজয় সরণি বা তেজগাঁও আসতে হবে। বিজয় সরণির আগের ওভার ব্রিজের ওপর থেকে ওঠা যাবে নতুন এই উড়াল সড়কে। পাশাপাশি তেজগাঁও থেকে বিজয় সরণির দিকে যাওয়ার অংশ থেকেও ওঠা যাবে উড়াল সড়কে। বনানী রেলস্টেশন থেকেও ওঠা যাবে এই উড়াল সড়কে। সেতু বিভাগ জানিয়েছে, দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন অর্থাৎ যারা বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেটের দিকে আসবেন, তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা ও প্রগতি সরণি এবং বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব দিয়ে উড়াল সড়কে উঠতে পারবেন। তারা নামতে পারবেন বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে ও ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে।
অন্যদিনে উত্তর অভিমুখী যানবাহন অর্থাৎ যারা ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দরের দিকে যাবেন তাঁরা বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর ও দক্ষিণ লেন এবং বনানী রেলস্টেশনের সামনে থেকে উড়াল সড়কে উঠতে পারবেন। তারা নামতে পারবেন মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে, বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউর সামনে বিমানবন্দর সড়ক, কুড়িল বিশ্বরোড ও বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে। সেতু বিভাগ বলছে, মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আর ওঠা-নামার স্থানে (র্যাম্প) সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সব ধরনের যানবাহন চললেও মোটরসাইকেল ও থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।