/
/
/
চীনের অর্থনীতি কি সত্যিই অনেক বড় ?
চীনের অর্থনীতি কি সত্যিই অনেক বড় ?
15 views
Relaks News 24
আপলোড সময় : 10 ঘন্টা আগে
চীনের অর্থনীতি কি সত্যিই অনেক বড় ?
Print Friendly, PDF & Email

চীনের অর্থনীতিকে বলা হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। কিন্তু সত্যিই দেশটির অর্থনীতি এত বড় কিনা, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কারও কারও মতে, দেশটির অর্থনীতির একটি বড় অংশই মরিচীকা। বড় পরিসরে চীনা অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নাম নিতে হবে সবার আগে। এক দশক আগে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন শি জিনপিং। দুর্মুখেরাও স্বীকার করেন, সেই পরিকল্পনাটি ছিল শির সবচেয়ে সাহসী পদক্ষেপ। তিনি চেয়েছিলেন, ২০২০ সালের মধ্যে চীনা অর্থনীতিকে পশ্চিমা স্টাইলে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করতে।

সেই উদ্দেশ্যে ৬০ দফা এজেন্ডা হাতে নিয়ে ছিলেন শি জিনপিং। এরপর দশ বছর পেরিয়ে গেছে। এজেন্ডাগুলো কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, সেকেলে প্রবৃদ্ধিনির্ভর চীনা অর্থনীতি কতটা পনুর্গঠিত হয়েছে, সেসব নিয়ে এখন চলছে সমালোচনা। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, সামনে গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির চাইনিজ ডেভেলপমেন্টের অধ্যাপক উইলিয়াম হার্স্ট বলেন, ‘কোনো কিছুই হঠাৎ ভেঙে পড়ে না। ধীরে ধীরে ব্যর্থ হয়। চীনা অর্থনীতির ক্ষেত্রেও তাই ঘটছে।’

গত শতকের আশির দশকে চীন গ্রামীণ অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দিকে প্রবেশ করেছে। এরপর সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে ২০০৮-০৯ সালের দিকে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে। বৈশ্বিক মন্দার পর চীনা অর্থনীতি বেড়েছে মাত্র চারগুণ। বিপরীতে ঋণ বেড়েছে ৯ গুণ। প্রবৃদ্ধি উচ্চ রাখতে গিয়ে ২০১০-এর দশকে দেশটিতে অবকাঠামো ও সম্পত্তির ওপর বিনিয়োগ দুই গুণ কমে গেছে। এর ফলে নির্মাণ ও শিল্পখাতে কর্মসংস্থান স্থবির হয়ে পড়েছে। বেড়েছে বেকারত্ব। অনেক তরুণ স্নাতক পাস করে বসে আছে। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারছে না।

এর সঙ্গে ২০২০ সালে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’র মতো শীরে সংক্রান্তি হিসেবে আবির্ভূত হয় করোনা মহামারি। স্বাভাবিকভাবেই সেই মহামারি অর্থনৈতিক সঙ্কটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এ বছর অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা কঠিন হবে। চীনা গবেষণা প্রতিষ্ঠান মেরিক্সের প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্স জেংলেইন বলেছেন, আমরা এই মুহূর্তে কিছু কাঠামোগত পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। এটি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। সবেমাত্র বাস্তবতার মুখোমুখি হতে শুরু করেছি। সামনে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীনের অর্থনৈতিক উত্থান যদি থেমে যায়, তবে পণ্য রপ্তানিকারকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বিশ্বজুড়ে রপ্তানি হ্রাস পাবে। ঘরে ঘরে বেকারত্ব আরও বাড়বে। বিনষ্ট হবে সামাজিক স্থিতিশীলতা।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তিনটি বিকল্প দেখছেন অর্থনীতিবিদেরা। একটি হচ্ছে, ঋণ নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে রেখেছ চীন। আরেকটি হলো প্রবৃদ্ধি খরচ কমিয়ে দেওয়া। আর তৃতীয়টি হচ্ছে, অবকাঠামোগত সংস্কারসহ একটি ভোক্তা নেতৃত্বাধীন মডেল তৈরি করা। চীনের ঘাড়ে এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের আনুমানিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে। চীনা গবেষণা প্রতিষ্ঠান রোডিয়াম গ্রুপের একজন অংশীদার লোগান রাইট বলেছেন, বেইজিংকে এখনই ঠিক করতে হবে এই বিপুল ঋণ সে কীভাবে শোধ করবে। কারণ সরকারের ওপর থেকে বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যাচ্ছে। এতে সঙ্কট আরও ঘনিভূত হচ্ছে।

তবে অর্থনীতিবেদেরা একটি আশার আলো অবশ্য দেখছেন। সেটি হচ্ছে, ডেভেলপার্স কোম্পানি ও ব্যাংকগুলোর ওপর সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ফলে দেশের অর্থ বহির্বিশ্বে পাচার হওয়ার ঝুঁকি কম। ফ্রান্সভিত্তিক করপোরেট বিনিয়োগ ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নাটিক্সিসের এশিয়া প্যাসিফিকের প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালিসিয়া গার্সিয়া হেরেরো আশা করেন, বেইজিং যদি সীমিত বিনিয়োগের বিকল্প দিয়ে ঋণ একত্রিত করে, তবে প্রচুর ক্রেতা থাকবে। আরেকটি উপায় হচ্ছে, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর মাধ্যমে সঙ্কট এড়ানো সম্ভব হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে যুব বেকারত্ব ২১ শতাংশ, যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকিতে ফেলবে।

তবে তৃতীয় যে বিকল্পের কথা (অবকাঠামোগত সংস্কারসহ একটি ভোক্তা নেতৃত্বাধীন নতুন মডেল) অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, সেটি অনেকটাই অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কেউ কেউ বলছেন, চীনা মুদ্রা ইউয়ান পতনশীল। এই সময়ে নতুন মডেলে অর্থনৈতিক সংস্কার করতে গেলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। অধ্যাপক উইলিয়াম হার্স্ট বলেন, ‘সরকার যদি নতুন মডেল প্রবর্তনের দিকে যায়, তবে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিক ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নিউজটি করেছেন : মাসুদ রানা
{{ reviewsTotal }}{{ options.labels.singularReviewCountLabel }}
{{ reviewsTotal }}{{ options.labels.pluralReviewCountLabel }}
{{ options.labels.newReviewButton }}
{{ userData.canReview.message }}

এ জাতীয় আরো খবর

মামার স্বার্থে ভাগিনা নির্বাচন প্রত্যাহার
মামার স্বার্থে ভাগিনা নির্বাচন প্রত্যাহার
সন্তানের ‘চিকিৎসা করাতে না পেরে’ আত্মহত্যা করলেন মা
সন্তানের ‘চিকিৎসা করাতে না পেরে’ আত্মহত্যা করলেন ম...
হরিপুরে পরীক্ষায় ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা 
হরিপুরে পরীক্ষায় ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা 
কাউখালীতে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত
কাউখালীতে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত
বিশ্ব মা দিবসে কেমন আছেন ফিলিস্তিনি মায়েরা
বিশ্ব মা দিবসে কেমন আছেন ফিলিস্তিনি মায়েরা
আজ বিশ্ব মা দিবসে যেসব উপহার দিয়ে চমকে দিতে পারেন মা’কে
আজ বিশ্ব মা দিবসে যেসব উপহার দিয়ে চমকে দিতে পারেন ...
এসএসসিতে পাসের হার ৮৩.০৪, এগিয়ে মেয়েরা
এসএসসিতে পাসের হার ৮৩.০৪, এগিয়ে মেয়েরা
মৌলভীবাজারে প্রথম রাজনীতির মাঠে ট্রান্সজেন্ডার নেতা
মৌলভীবাজারে প্রথম রাজনীতির মাঠে ট্রান্সজেন্ডার নেত...
শেরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা করলেন নবাগত পুলিশ সুপার
শেরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিম...
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ, জানা যাবে যেভাবে
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ, জানা যাবে যেভাবে
মামার স্বার্থে ভাগিনা নির্বাচন প্রত্যাহার
মামার স্বার্থে ভাগিনা নির্বাচন প্রত্যাহার
সন্তানের ‘চিকিৎসা করাতে না পেরে’ আত্মহত্যা করলেন মা
সন্তানের ‘চিকিৎসা করাতে না পেরে’ আত্মহত্যা করলেন ম...
হরিপুরে পরীক্ষায় ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা 
হরিপুরে পরীক্ষায় ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা 
কাউখালীতে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত
কাউখালীতে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত
বিশ্ব মা দিবসে কেমন আছেন ফিলিস্তিনি মায়েরা
বিশ্ব মা দিবসে কেমন আছেন ফিলিস্তিনি মায়েরা
আজ বিশ্ব মা দিবসে যেসব উপহার দিয়ে চমকে দিতে পারেন মা’কে
আজ বিশ্ব মা দিবসে যেসব উপহার দিয়ে চমকে দিতে পারেন ...

Log in

Not registered? Join us FREE