৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে রনাকের পক্ষ থেকে শেরপুর শহরের উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে দুর্বৃত্তের হাতে খুন হওয়া অটোচালক উজ্জল মিয়ার হতদরিদ্র পরিবারকে উজ্জ্বলের স্ত্রীর হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।শেরপুরে র্যাব নারী কল্যাণ (রনাক) এর পক্ষ থেকে এ বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
ওইসময় তিনি বলেন, রনাক সবসময়ই বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি অসহায়-হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নিহত অটোচালক উজ্জ্বলের পরিবারের অসহায়ত্বের কথা জানতে পেরে রনাকের মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে র্যাব। তিনি আরও বলেন, ক্লুলেস উজ্জল হত্যা মামলার বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতারসহ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে র্যাব। শুরু থেকেই গণমাধ্যমকর্মীরা আমাদের এবং উজ্জ্বলের পরিবারের পাশে ছিলেন। আশা করি ভবিষ্যতেও তারা এ সহায়তা অব্যাহত রাখবেন।
সহায়তা প্রদানকালে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান, সহকারি পুলিশ সুপার জাহিদ হাসান, শেরপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মলয় মোহন বল, সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, নিহত অটোচালক উজ্জ্বলের স্ত্রী করুনা বেগমসহ র্যাবের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল উজ্জ্বল মিয়া তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে ভাড়ায় যাত্রীবহন করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে পার্শ্ববর্তী খুনুয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে ৬ সন্তানের জনক উজ্জ্বল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই ঘটনায় নিহত উজ্জ্বল মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে মামলা দায়ের পর র্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের র্যাব সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান চালিয়ে কয়েকজন দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করে এবং সেই সাথে উজ্জ্বল মিয়ার ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। উজ্জ্বল নিহত হওয়ার পর থেকে তার স্ত্রী ৬ জন শিশু সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। এজন্য র্যাবের নারী কল্যাণ সমিতি থেকে তার স্ত্রীকে ব্যবসা পরিচালনার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।