চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) যাওয়ার পথে শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে রাস্তায় আগুন দেয়। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন। জিরো পয়েন্টে অবস্থিত পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের কাছে শাটল ট্রেনের বগি বাড়ানোর দাবিও জানান তাঁরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটাল ট্রেনটি বটতলী স্টেশন ছেড়ে যায়। ষোলশহর স্টেশনে ট্রেনটি থামলে, জায়গা না পেয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী ট্রেনের ছাদের ওঠেন। ৯টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি চৌধুরীহাট স্টেশন অতিক্রম করলে গাছের ডালে ধাক্কা লেগে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে ট্রেনটি ফতেয়াবাদ স্টেশনে থামলে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম মেডিকলে কলেজ হাসপাতাল মেডিকেল অফিসার নিবেদিতা ঘোষ বলেন, আহতদের মধ্যে কয়েক শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের বেশিভাগেরই মাথায় এবং মুখে আঘাত রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করা এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি ছাদ থেকে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় নামিয়েছি। এরমধ্যে দুজনের মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছিল। অন্যজন পায়ে আঘাত পেয়েছে। ট্রেনের অন্য পাশে আরও কয়েকজনকে আহত অবস্থায় নামাতে দেখেছি। ঘটনার পরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দ্রুত উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।