মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের বকুলতলার শোলারচর এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছররা গুলিতে গুরুতর আহত সাত মাসের শিশু তাবাসসুমের শরীর থেকে এখনো গুলি বের করা যায়নি। যন্ত্রণায় শিশুটি হাসপাতালে কান্নাকাটি করছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মোঃ আলাউদ্দিন জানান, শিশু তাবাসসুমকে ৭২ ঘণ্টার অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।আজ শনিবার ৭২ ঘণ্টা পার হওয়ার পর শিশুটির শারীরিক অবস্থা বোঝা যাবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে অপারেশনের। এর আগ পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। বর্তমানে শিশুটি জরুরি বিভাগের দ্বিতীয় তলায় শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শিশুটির পিতা বাবুল ব্যাপারী জানান, তাবাসসুমের শরীরে তিনটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। এক্স-রে করে দেখা গেছে একটি গুলি পেটে, অন্যটি রানে এবং আরেকটি ঊরুতে বিদ্ধ হয়েছে। শনিবার চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করবেন কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি জানান, হাসপাতালে তাবাসসুম যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করছে। চিকিৎসকদের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা তাকে শান্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। গত বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মুন্সীগঞ্জের শোলারচর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন পথচারীসহ ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। শিশু তাবাসসুমসহ আরো দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাবাসসুম মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের স্যানিটারি ব্যবসায়ী বাবুল ব্যাপারীর মেয়ে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাবাসসুমের পাশে বসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মা কনিকা বেগম বলেন, ‘বড় শঙ্কার মধ্যে আছি। শরীরে গুলি নিয়ে ব্যথায় তাবাসসুম কান্নাকাটি করছে।
আমার কোলে ঘুমাচ্ছে। একটু পর পর যন্ত্রণায় কান্না করছে।