খবরটা কয়েক বছর আগেই এসেছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। আগামী ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সব ব্যবস্থা করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এবার জানা গেল আরেকটু বেশি। আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকার ব্যবস্থা করছেন তিনি। আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নেই তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী।
২০২৪ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাতে লড়বেন কিনা, তা এখনো জানাননি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি প্রেসিডেন্ট পদে লড়লে, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। এমনটাই বলছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। রাশিয়ার আরবিসি বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আগামী বছরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো ঘোষণা প্রেসিডেন্ট দেননি। তিনি নির্বাচনে অংশ নিলে তাঁর সঙ্গে লড়াই করার মতো কেউ নেই।
রাশিয়ার বেশির ভাগ জনগণ ভ্লাদিমির পুতিনকে সমর্থন করে বলে দাবি করেছেন দিমিত্রি পেসকভ। এক সময় কেজিবির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর তিনি রাশিয়ার ক্ষমতায় আসেন। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে দেশটির ক্ষমতায় আছেন তিনি। এর মধ্যেই ২০২২ সালে ইউক্রেন হামলা করে রাশিয়া। হামলার পর বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন পুতিন।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, পুতিনের পরিকল্পনামতো এই যুদ্ধ চলছে না। এর মধ্যেই নিজ দেশের ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের বিদ্রোহের মুখে পড়েন। যদিও পরে সেটি ভণ্ডুল করা হয় এবং ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। কিন্তু পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রুশ অর্থনীতি কিছুটা থমকে যায়। কিন্তু পুতিনের ক্ষমতায় এসব কোনো প্রভাবই ফেলতে পারছে না।
এর আগে গত মার্চে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছিলেন, তিনি মনে করেন, রাশিয়ানরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুতিনকেই আবারও বেছে নেবেন। সম্প্রতি এক জরিপ থেকে জানা যায়, এখনো রাশিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা পুতিন। এই তো গত আগস্টে তাঁর পক্ষে ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশ। লেবাদা সেন্টার এই জরিপ করেছে। জরিপে আরও বলা হয়, ইউক্রেনে রুশ হামলাকে দেশটির ৭০ শতাংশ জনগণ সমর্থন করেছেন। তবে এই জরিপ বিশ্বস্ত সূত্র থেকে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পুতিনবিরোধী ও পশ্চিমাদের।