...
/
/
/
চাঁদাবাজির নতুন ধরন বাইকে যাত্রী তুললেই দিতে হয় চাঁদা!
চাঁদাবাজির নতুন ধরন বাইকে যাত্রী তুললেই দিতে হয় চাঁদা!
Relaks News 24
আপলোড সময় : 13 ঘন্টা আগে
চাঁদাবাজির নতুন ধরন বাইকে যাত্রী তুললেই দিতে হয় চাঁদা!
Print Friendly, PDF & Email

রাজধানীতে পাল্টেছে চাঁদাবাজির ধরন। এতদিন ট্রাক কিংবা বাসে চাঁদাবাজি হলেও এখন নেয়া হচ্ছে যাত্রী পরিবহনকারী রাইডারদের কাছ থেকেও। রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে মিলেছে এমন চিত্র। রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড়। রাস্তার পাশে বাইকস্ট্যান্ড। সবাই রাইড শেয়ারিং কিংবা চুক্তিতে যাত্রী পরিবহন করেন। কিছুক্ষণ নজর রাখলেই বোঝা যায় সেখানে হচ্ছেটা কী!

যখনই কোনো রাইডার যাত্রী নিচ্ছেন, ঠিক তখনই সেই বাইকের সামনে হাজির হন সাদা শার্ট পরা এক কিশোর। কখনো যাত্রী আবার কখনো রাইডার নিজেই কিছু একটা দিচ্ছেন তার হাতে। কিছুটা কাছ থেকে দেখা গেল তার হাতে দেয়া হচ্ছে টাকা। কিন্তু কিসের টাকা নিচ্ছে কিশোরটি?

জানতে চাইলে সে বলে, ‘সার্জেন্ট আমাকে বলেছে, তুমি এখান থেকে দশ-পাঁচ টাকা করে নাও, এ রোডটা ক্লিয়ার রাখো।’ পুলিশের কোন সার্জেন্ট তাকে এ দায়িত্ব দিয়েছে জানতে তাকে নিয়ে পুলিশ বক্সে গেলে সে দেখাতে পারেনি ওই কর্মকর্তাকে। তবে সরাসরি চাঁদাবাজির বিষয়টি শিকার না করলেও দিলেন সেখানকার চাঁদাবাজির তথ্য।ওই কিশোর বললো, বেশি সময়ের জন্য আসি না। কালো করে এক ভাই আসে বিকেলে; অনেক সময় সন্ধ্যায়ও আসে। এসে সিএনজির ওই সাইডে দাঁড়িয়ে দেখি টুকটাক টাকা তোলে।

এবার মোহাম্মদপুর থেকে যাওয়া হলো যাত্রাবাড়ীতে। সেখানেও দেখা গেল একই চিত্র। বাইকে যাত্রী তুলতেই এক কিশোরকে দিতে হচ্ছে ১০ টাকা করে। কিন্তু কেন টাকা নেয়া হচ্ছে? কে-ই বা তাকে এখানে টাকা তুলতে বলেছ? জানতে চাইলে কিশোর বলে, ‘বড়ভাই কইছে, এখানে সিএনজিতে যাত্রী উঠলে ২০ টাকা করে নিবি, আর মোটরসাইকেল থেকে ১০ টাকা করে নিবি।’

রাজধানী জুড়েই এমন চিত্র। বেশকিছু জায়গা থেকে যাত্রী নিলেই দিতে হয় চাঁদা। রাইডাররা বলছেন, অনেকটা বাধ্য হয়েই তাদের এ চাঁদা দিতে হচ্ছে!এক রাইডার বলেন,এখানে সিস্টেমটাই এ রকম! ১০ টাকা দিলে যাত্রী নিতে দিবে, নয়তো না।আরেকজন বলেন, ‘আমরা এটা দিই মূলত একটু নিরাপদে থাকার জন্য, সার্জেন্টের ঝামেলা যেন না হয়।’আরেক রাইডার বলেন, ‘এ টাকা দেয়া তো ঠিক না। কিন্তু আমদের যেহেতু স্ট্যান্ডে কাজ করতে হবে, তাই বাধ্য হয়েই দিই।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে ওখানে অভিযান করি, যারা এসব বাইকারের কাছ থেকে চাঁদা নেয়, তাদের আমরা খুঁজে খুঁজে বের করি এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসি। অপরাধ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ছিনতাই-চাঁদাবাজি, চুরি-ডাকাতির ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো খুব সতর্ক হলে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ নির্মূল করা সম্ভব।

সূত্র বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদাবাজির মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চলে যাচ্ছে অসাধু ব্যক্তিদের কাছে। বাইকে যাত্রী তুললেই দিতে হবে টাকা – এমন অনিয়মকেই নিয়ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে রাজধানীর বেশকিছু স্পটে। বাইকারদের দাবি, তাদের রক্ত পানি করা টাকা কাদের পকেটে যাচ্ছে খুঁজে বের করে নিয়ে আসা হোক আইনের আওতায়।

নিউজটি করেছেন : মাসুদ রানা
{{ reviewsTotal }}{{ options.labels.singularReviewCountLabel }}
{{ reviewsTotal }}{{ options.labels.pluralReviewCountLabel }}
{{ options.labels.newReviewButton }}
{{ userData.canReview.message }}

এ জাতীয় আরো খবর

Log in

Email*
Password*

Forgot your password?

Not registered? Join us FREE

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.