...
/
/
/
এডিসি হারুন কান্ডে আড়ালে সানজিদা
এডিসি হারুন কান্ডে আড়ালে সানজিদা
Relaks News 24
আপলোড সময় : 9 ঘন্টা আগে
এডিসি হারুন কান্ডে আড়ালে সানজিদা
Print Friendly, PDF & Email

হারুন অর রশিদ সানজিদা আফরিন নিপা। আলোচিত দুটি নাম। দুজনেই পুলিশের অতিরিক্ত উপ- কমিশনার। ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পেটানোর দায়ে অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদকে। কিন্তু বহাল তবিয়তে রয়েছেন সানজিদা। গণমাধ্যম থেকেও অনেকটা আড়ালে তিনি। অথচ এই গল্পের মূল নায়িকা তিনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। চাকরি জীবন থেকে শুরু করে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে বারবার। কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ ছিল কনস্টেবলের সঙ্গেও। সর্বশেষ গত শনিবার রাতে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটালে এডিসি হারুন অর রশিদের সঙ্গে থাকাবস্থায় ঘটে আলোচিত ঘটনাটি।

পুলিশ সদর দপ্তরে বি পি নম্বর অনুসারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সানজিদা আফরিন নিপা ডিএমপির ৩৩ ব্যাচের বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম-১)। সেখানে স্বামীর নাম হিসেবে লেখা রয়েছে মোঃ আজিজুল হক। যার পুরো নাম মোঃ আজিজুল হক মামুন। তিনি ৩১ ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা ও বর্তমান রাষ্ট্রপতির এপিএস। অভিযোগ উঠেছে, স্বামীর অজান্তে ৩৩ ব্যাচের এডিসি হারুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তার। বিষয়টি জানার পর থেকেই গোয়েন্দা তৎপরতা চালান মামুন। ঘটনার দিন সংবাদ পেয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মামুন। তারপরই একের পর এক বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতি থেকে একপর্যায়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় ধরে নিয়ে বেদম প্রহার করেন হারুন ও তার অধীনস্থরা। আড়ালে রয়ে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের এডিসি সানজিদা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সানজিদা ও হারুনের বিয়ের পোশাক পরিহিত একটি ছবি। সানজিদার ঘনিষ্ঠজনরা জানান ,ছাত্র জীবনে বিয়ে হয়েছিল হারুন-সানজিদার। পরবর্তীতে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। যদিও সানজিদা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

২০২১সালের ৬ মে থেকে ২০২২সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গাজীপুর সদর সার্কেলে এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন সানজিদা।ওই সময়ে নীলকন নামে এক কনস্টেবলের সঙ্গে তার বেশ সখ্য ছিল। জেলা পুলিশ সদস্যদের কাছে মজাদার আলোচনার বিষয় ছিল এই জুটি। বিষয়টি গড়ায় তৎকালীন গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার শফিউল্লাহ পর্যন্ত। লিংকনের স্ত্রী ডেলিন এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। সূত্রমতে ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, লিংকনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তার ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তা সানজিদা আফরিন। এ নিয়ে তাদের সংসারের অশান্তি শুরু হয়েছে। ঠিকমতো তাকে ভরণপোষণ দিচ্ছে না লিংকন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই অভিযোগ গ্রহণ করেনি পুলিশ। যথাযথ প্রমাণ না থাকায় লিখিত অভিযোগ পরিবর্তন করতে হয় ডেলিনকে। এতে সানজিদার বিষয়টি বাদ দিতে হয়। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেন, এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নন্দিতা মালাকারকে। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে চাননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এডিসি সানজিদা আফরিন নিপার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুরের নাগদা শিমলা ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন সানজিদার বাবা। এএসপি হওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। চাকরিজীবনে বরাবরই ঢাকা বিভাগেই থাকেন সানজিদার। ওপর মহলের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ডিএমপিতে যোগ দেন সানজিদা। এ বিষয়ে ডিএমপি যুগ্ন কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

নিউজটি করেছেন : মাসুদ রানা (ঢাকা)
{{ reviewsTotal }}{{ options.labels.singularReviewCountLabel }}
{{ reviewsTotal }}{{ options.labels.pluralReviewCountLabel }}
{{ options.labels.newReviewButton }}
{{ userData.canReview.message }}

এ জাতীয় আরো খবর

Log in

Email*
Password*

Forgot your password?

Not registered? Join us FREE

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.