হাতে নেই পাসপোর্ট। বোর্ডিং পাসও ছিলো না। তারপরও বিমানবন্দরের সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাশ কাটিয়ে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে উঠে বসে এক শিশু। গত সোমবার মধ্য রাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান জানান, এ ঘটনায় ইমিগ্রেশনের নিরাপত্তায় থাকা সব সদস্যকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরে যাত্রীদের প্রবেশ করতে প্রথমেই পার হতে হয় নিরাপত্তা তল্লাশি। পাসপোর্ট ও বোডিং পাস দেখিয়ে পার হতে হয় ইমিগ্রেশন। এরপর আরও একটি চেক- সেখানে হ্যান্ড ব্যাগ, মানিব্যাগসহ অন্যান্য তল্লাশি শেষে অনুমতি মেলে উড়োজাহাজে উঠার। তবে সোমবার রাত ৩টার ১০ মিনেটে কুয়েত এয়ারওয়েজের কুয়েতগামী ফ্লাইটে উঠে পড়ে বারো বছরের এক শিশু। পরে, প্লেনের করিডোরে চলাফেরা করতে থাকা শিশুটিকে দেখে সন্দেহ হয় কেবিন ক্রুদের। পাসপোর্ট, কিংবা টিকিট না পাওয়ায় তাকে নামিয়ে আনা হয় উড়োজাহাজ থেকে।
বেবিচকের চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান বলেন, “শিশুটির বাবা-মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইমিগ্রেশনের নিরাপত্তায় থাকা সব সদস্যকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে”। এভিয়েশন বিশ্লেষক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, “বিমানবন্দরের নিরাপত্তা তল্লাশি পাশ কাটিয়ে কীভাবে একটি শিশু উড়োজাহাজে উঠে গেলো তা খতিয়ে দেখা দরকার। এ ঘটনা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বের উড়োজাহাজ যাত্রীদের মধ্যে ভয় তৈরি করতে পারে”। বৃদ্ধ এক দম্পতির সাথে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়া শিশুটি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি, সিভিল এভিয়েশনের।