চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভেজাল সয়াবিন তেলে বিভিন্ন অননুমোদিত ব্রান্ডের লোগো ব্যবহার করে বাজারজাত করার সময় মূলহোতা ও তার দুইজন সহযোগীসহ তিন জনকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল সয়াবিন তেলসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম। ৱ্যাব সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের কালারপোল স্কুলের পূর্ব পাশে শাহ অহিদিয়া দরবার মার্কেট এর আড়ালে গোডাউনের ভিতরে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীন খাদ্যদ্রব্য অবৈধ ভেজাল সয়াবিন তেল সংগ্রহপূর্বক বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করা হচ্ছে এমন তথ্য পায়।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত(১১ ও ১২সেপ্টেম্বর) বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।এ সময় দুই হাজার ৬৬১ লিটার ভেজাল সয়াবিন তেল সহ মূলহোতা মো:আলমগীর সহ তাঁর দুই সহযোগী কে গ্রেপ্তার করে ৱ্যাব গ্রেপ্তারকৃত মোঃ আলমগীর (৩৬), পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের মৃত মোহাম্মদ মুছা ছেলে। অপর দুজন সাইফুল ইসলাম হৃদয় (১৮), বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার লিটন এবং মোঃ শাকিল (১৮)নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার মৃত মোঃ সায়েদ’র ছেলে।প্রাথমিকভাবে ৱ্যাব জানিয়েছেন জব্দ করা সয়াবিন তেলের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা সংরক্ষিত সয়াবিন তেল এবং বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে সংরক্ষণের বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আরো স্বীকার করে যে, বাহিরে খোলা বাজার হতে সয়াবিন তেল সংগ্রহ পূর্বক উক্ত সয়াবিন তেলে ভেজাল অস্বাস্থ্যকর উপাদান মিশিয়ে অবৈধভাবে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য সয়াবিন তেল নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ১৮৫ লিটারের বড় ড্রামে সংরক্ষণ করে। উক্ত বড় ড্রাম হতে ৫, ২, ১ লিটার, ৯০০ এমএল ও ৫০০ এমএল প্লাষ্টিকের বোতলে ঢেলে বোতলের গায়ে বিএসটিআই এর অনুমোদন ব্যতীত লোগো যুক্ত ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল নামীয় লেবেল লাগিয়ে বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে বর্ণিত গোডাউনে সংরক্ষণ করে। বর্তমান বাজারে সয়াবিন তেলের অত্যাধিক দাম থাকায় অনুমোদন বিহীন বিএসটিআই এর বিনা লাইসেন্সে অবৈধভাবে অধিক লাভবান হওয়ার আশায় বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল সংগ্রহ পূর্বক তাতে ভেজাল উপাদান মিশিয়ে আয়ান ফর্টিফাইড সুপার পাম অলিন/এস. জালাল সয়াবিন তেল নামে মোড়কের গায়ে সংযুক্ত করে বাজারজাত এবং বিক্রয় করে আসছে। ভবিষ্যতেও এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরে গ্রেফতারকৃত আসামী এবং জব্দকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।