জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানের মা রাবেয়া বেগম (৮০) আর নেই। তিনি ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিতসহ জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি জেলা যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদ আলম ইয়াকুব ও মো. মোকাদ্দেছসহ ৫ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় শেরপুর জেলা শহরের মৈত্রীবাড়ি মাঠে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় মরহুমার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুঠোফোনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মরহুমার জ্যেষ্ঠ ছেলে শেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা মরহুমাকে একজন অনুসরণীয়, পরহেজগার ও মহিয়সী নারী হিসেবে উল্লেখ করে তার আত্মার শান্তি কামনা করেন। সেইসাথে মরহুমার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। জানাজায় শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মনিরুল হাসান, শেরপুর জেলা শহরের স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান জেএন্ডএস গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন (করবাহাদুর), জেএন্ডএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাপ্তাহিক দৃশ্যপট পত্রিকার প্রকাশক সম্পাদক মো. সাদুজ্জামান সাদী, বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক মুসুল্লী শরিক হন। নামাজে জানাজা শেষে শহরের নিজ এলাকা মীরগঞ্জস্থ পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমার লাশ দাফন করা হয়।