...
/
/
/
তারেকের খরচ চালান এস আলম
তারেকের খরচ চালান এস আলম
Relaks News 24
আপলোড সময় : 13 ঘন্টা আগে
তারেকের খরচ চালান এস আলম
Print Friendly, PDF & Email

সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটের জন্য দেশের আর্থিক খাতে আলোচিত নাম প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার সম্প্রতি কলকাতায় ভারতে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো-সিবিআইতে দেওয়া জবানবন্দিতে এস আলম গ্রুপ নিয়ে ভয়ঙ্কর সব তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনিই জানিয়েছেন, লন্ডনে তারেক জিয়াকে ফ্ল্যাট কিনে দেওয়াসহ প্রতি মাসে তার খরচ বাবদ মোটা অংকের টাকাও পাঠান এস আলম।

১৬ মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানকে মুক্তি দেওয়া হয়। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে ১৩টি মামলার জামিন পান তারেক রহমান। ওই সময়ে জোর আলোচনায় ছিল যে, বিএনপিকে নির্বাচনে যাবার শর্ত হিসেবে খালেদা জিয়ার দুই ছেলেকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জেল থেকে ছাড়া পেলেও তারেক রহমানের সঙ্গে গণমাধ্যমের কেউ সাক্ষাৎ করতে পারেনি। এরপর থেকে গত ১৫ বছর লন্ডনে অবস্থান করছেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। সেখান থেকেই তিনি দল পরিচালনা করছেন।

তারেক রহমান লন্ডনে যাওয়ার পর থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হয়, তিনি সেখানে চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন। তবে তার এই দীর্ঘসময় দেশের বাইরে থাকার ব্যয় নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন উঠেছে। এবার জানা গেল এক চমকপ্রদ তথ্য। লন্ডনে যে ফ্লাটে তারেক রহমান বাস করেন সেটি তাকে কিনে দিয়েছেন বর্তমান সরকারের আমলে সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মাসুদ (এস আলম)। শুধু তাই নয়, লন্ডনে তারেক রহমানের খরচ চালানোর জন্যও প্রতি মাসে ৩ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩ কোটি টাকা) দেন এস আলম।

সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটের জন্য দেশের আর্থিক খাতে আলোচিত নাম প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার সম্প্রতি কলকাতায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো-সিবিআইতে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এ তথ্যটি ভারত-বাংলাদেশে চাউর হলেও অজ্ঞাত কারণে বাংলাদেশি গণমাধ্যমগুলো তা বেমালুম চেপে যায়। দাপুটে এক ইউপি চেয়ারম্যানের মালিকানায় সদ্য প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকায় এ বিষয়টি নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রস্তুত করলেও তা ছাপানোর আগেই এস আলম গ্রুপের দায়িত্বশীল কর্তা ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দেন। প্রচ্ছদ রিপোর্টের ভয়াবহতা টের পেয়ে তৎপর হয়ে উঠে গ্রুপের একচ্ছত্র কর্তৃত্বধারী খোদ সাইফুল আলমও। পরে দ্রুত দেন দরবারে কোটি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার ঘটনা ঘটে বলেও জানা গেছে।

পিকে হালদারের জবানবন্দীর সূত্র ধরে চালানো অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, সিঙ্গাপুরের ২১ নিউটন রোডের একটি কমপ্লেক্সের দশম তলায় (নাইন ফ্লোর) এস আলমের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর ঠিক উপরের তলায় রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার মজুমদারের ফ্ল্যাট। নিউটন রোডের ফ্ল্যাট ছাড়াও সিঙ্গাপুরে একটি বাংলো বাড়ি রয়েছে এস আলমের। দেশের সাত ব্যাংককে কব্জায় নিয়ে দেউলিয়ার পথে ঠেলে দেয়ার পর থেকেই তিনি সিঙ্গাপুরের এ বাংলো বাড়িতে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ থেকে পাচার করে নেওয়া টাকায় এস আলম এখন সিঙ্গাপুরের অন্যতম বিনিয়োগকারী হিসেবেও পরিচিত।

অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এস আলমের ছোট ভাই আব্দুস সামাদ লাবুর সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাদের দুজনেরই আবার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে, যিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। পিকে হালদার তার জবানবন্দিতেও লাবু-তারেক-মামুনের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন। হালদারের ভাষ্য, ‘সাইফুল আলমের ভাই আব্দুস সামাদ লাবু হলেন তারেক রহমানের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। তার মাধ্যমেই এস আলমের সঙ্গে তারেক জিয়ার যোগসূত্র তৈরি হয়।’

সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমানোর পর থেকেই এস আলম নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন তারেক জিয়ার সঙ্গে। সম্পর্কের সৌজন্যতা হিসেবে প্রতি মাসে খরচ খরচা বাবদ তিন লাখ মার্কিন ডলার তারেক জিয়াকে তিনি পাঠান বলেও দাবি করেছেন পিকে হালদার। বর্তমানে এস আলমের সঙ্গেও তারেক জিয়ার গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তারা উভয়ে রাষ্ট্র, রাজনীতি, আগামি দিনের সরকার গঠন, আন্দোলন বেগবান করার বিষয়াদি নিয়ে প্রায়ই দীর্ঘ আলাপচারিতা করে থাকেন বলেও ঘনিষ্টজনদের সূত্রে জানা গেছে।

নিউজটি করেছেন : মাসুদ রানা
{{ reviewsTotal }}{{ options.labels.singularReviewCountLabel }}
{{ reviewsTotal }}{{ options.labels.pluralReviewCountLabel }}
{{ options.labels.newReviewButton }}
{{ userData.canReview.message }}

এ জাতীয় আরো খবর

Log in

Email*
Password*

Forgot your password?

Not registered? Join us FREE

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.