নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকে থেকে বিস্ফোরণে নারীসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন
হাসিনা মমতাজ (৫৫),ও তার মেয়ে কানিজা খাদিজানিপা (২৫) এবং পাশের ঘরের মোঃ সোহান(৪৫)ও তার স্ত্রী সায়মা (৪০)।
এদের মধ্যে নিপা নামে এক নারী আজ সকালের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহত নিপা নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার থানার লক্ষ্মী বরদী গ্রামের মোঃ কেসোয়ার মোল্লার মেয়ে।
গতকাল শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে দশটার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে তাদেরকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে শনিবার (২৩সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে তিনটার দিকে শেখ হাসিনা বার্নে নিয়ে আসা হয়।
নিহত নিপার বড় বোন ইভা ইসলাম জানান, গতকাল রাত দশটার দিকে ঘটনাস্থলের বাসায় আমার মা হাসিনা মমতাজ নামাজ পড়ছিলেন। ওই সময় আমার ছোট বোন নিপা দাঁত ব্রাশ করছিল। হঠাৎ আমাদের পাশের একটি রুমে বিকট শব্দ হয়। শব্দ শুনে আমার মা ও বোন ঘর থেকে বেরিয়ে পাশের রুমের দরজার সামনে গেলে ওই দরজাটি খোলা মাত্রই ভেতর থেকে আগুনে দগ্ধ হয় তারা। এই ঘটনায় ওই রুমে থাকা স্বামী সোহান ও তার স্ত্রী সায়মাও দগ্ধ হন। পরে আমরা সবাই মিলে দগ্ধদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আজ সকালের দিকে আমার বোন নিপা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আমাদের ধারণা পাশের রুমের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানাধীন দীঘির পাড়ের একটি চতুর্থ তলা ভবনের চতুর্থ তলায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয়ে চারজন আমাদের জরুরি বিভাগে আসে। তাদের মধ্যে নিপা ৯০% শতাংশ দগ্ধ হয়ে আজ সকালের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অন্যান্যরা হলেন সোহান দগ্ধ ১০০% শতাংশ,সায়মা দগ্ধ ৯০%শতাংশ এবং হাসিনা মমতাজ দগ্ধ ৫৫%শতাংশ। তিনি আরও জানান গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় আহতদের শেখ হাসিনা বার্নের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তাদের সকলের অবস্থাই আশঙ্কা জনক বলে তিনি জানিয়েছেন।