নাটোরের গুরুদাসপুরে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আসাদ আলী নামের এক কৃষককে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিকলবন্দি করে রাখা হয়। স্থানীয় সুদের কারবারি আব্দুল আজিজ আসাদ আলীকে শিকলবন্দি করে রাখেন। এরপর পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বাহাদুরপাড়া গ্রামে আব্দুল আজিজের নিজ বাড়ির বারান্দায় গত শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আসাদ আলীকে শিকলবন্দি করে রাখা হয়। আসাদ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
শিকলবন্দি আসাদ ও স্থানীয়রা জানান, তিন বছর আগে আব্দুল আজিজের কাছ থেকে আসাদ ৮০ হাজার টাকা সুদে ধার নেন। এরপর দুই বছরে ২০ হাজার টাকা সুদ এবং আসল ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। আসল ৫০ হাজার টাকা ও সুদের টাকা এ বছরের শুরুতে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই একটি দুর্ঘটনায় অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়েন আসাদ। এতে পাওনা টাকা দিতে পারেননি তিনি। শনিবার আব্দুল আজিজ ও তাঁর বাবা আফজাল হোসেনসহ কয়েকজন ব্যক্তি আসাদের বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর আজিজের বাড়ির বারান্দায় কোমরে শিকল বেঁধে তাঁকে আটকে রাখা হয়। টাকা পরিশোধ করতে না পারলে আসাদের হাত-পা ভেঙে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।
কৃষক আসাদকে শিকলবন্দী করার বিষয়টি স্বীকার করে আব্দুল আজিজ বলেন, ‘অনেক দিন হলো পাওনা টাকা ফেরত চাইলেও সে (আসাদ) দেয় না। তাই তাঁকে নিয়ে এসে শিকলবন্দী করে রাখা হয়েছে। যেন পালিয়ে যেতে না পারে।’ এ বিষয়ে গুরুদাসপুরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনারুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে শনিবার রাতে কৃষক আসাদকে উদ্ধার করা হয়েছে। সুদে কারবারি আব্দুল আজিজ পালিয়ে গেছেন।