রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে যে গাড়ির আঘাতে চারজন আহত হন সেটি চালাচ্ছিল ১৫ বছরের এক কিশোর। সে মোহাম্মদপুরের একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত রোববার রাত ৯টায় ইকবাল রোডে একটি বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন রিকশাচালক হাবিবুর রহমান (৪৫), যাত্রী আফরোজা আহমেদ তিন্না (৩৪), তাঁর স্বামী ইমরান রেজা (৩৮) ও তাঁদের মেয়ে এনায়া রেজা (৩)।
এর মধ্যে তিন্নার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিন্নার স্বামী ফয়সালও চিকিৎসাধীন। তবে ভালো আছে তাদের ৩ বছরের সন্তান এনায়া। রিকশাচালক হাবিবুরের মাথা ফেঁটেছে। তিনিও চিকিৎসাধীন। রোববারের ওই ঘটনায়, এক কিশোর ও এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার তরুণের নাম সালমান হায়দার (২৪)।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রোববার রাত ৯টায় বেপরোয়া একটি প্রাইভেট কারের ধাক্কায় রিকশার আরোহী এক দম্পতি শিশুসহ ছিটকে পড়েন সড়কে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন আশপাশের মানুষ। এ ঘটনায় হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান ফয়সাল। তিন্নার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাকে নেয়া হয়েছে আইসিইউতে।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী ফয়সাল বলেন, ‘হঠাৎ করে গলির ভেতর থেকে টায়ারের কর্কশ শব্দ পেলাম। কোনো কিছু করার আগেই সরাসরি মেরে দিল। তারপরও দেখলাম ব্রেক করার কোনো লক্ষণ নেই। সরাসরি আইল্যান্ডে উঠে গেল।’ পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটি চালাচ্ছিল গ্রেপ্তার ওই কিশোর। আর সালমান হায়দার তাকে গাড়িটি চালাতে দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন আহত ইমরানের বাবা রফিকুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সালমানের বাসা মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে। আর কিশোরের বাসা মোহাম্মদপুরের শের শাহ শূরি রোডে। তার বাবা একজন সৌদিপ্রবাসী। সে স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর সালমানকে কারাগারে আর আর কিশোরটিকে শিশু (কিশোর) উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। অপ্রাপ্ত বয়স্করা যেন গাড়ি চালাতে না পারে, সে জন্য অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বানও জানান তাঁরা।