নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন পাগলা তালতলা মাদ্রাসা রোডে জনি ওয়ার্কশপে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দোকান মালিকসহ দুইজন দগ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন ওয়ার্কশপের মালিক মোঃ জনি (৪০) এবং পথচারী গাড়ির গ্রিজ মিস্ত্রি মোঃ
সুমন (৩০) , দগ্ধ জনি ফতুল্লা থানাধীন রসুলপুরের দেলোয়ার সরদারের ছেলে। তিনি ওই ওয়ার্কশপের মালিক। অপরদিকে দগ্ধ সুমন পাগলা বাজার পপুলার হাসপাতাল এলাকার মৃত মোতালেব বয়াতির ছেলে।সে গাড়িতে গ্রিজ লাগানোর মিস্ত্রি ছিল।
আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে তাদেরকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এর আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান মোঃ জনি দগ্ধ ৪০% শতাংশ এবং মোঃ সুমন ৪৫% দগ্ধ হয়েছে। ২৪ ঘন্টা অতিক্রম না হলে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না। বর্তমানে তাদেরকে মেল এইচ ডি ইউ তে রাখা হয়েছে।
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা ওয়ার্কশপ ভবনের মালিক মোঃ হাফেজ জানান, আজ ছুটির দিন থাকায় ওয়ার্কশপ দোকানটি সারাদিন বন্ধ ছিল। দোকানের মালিক জনি আজ রাত সাড়ে নয়টার দিকে দোকানটি খুলে বিদ্যুতের সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দ হয়। আমি বাসার নিচে নেমে দেখি দগ্ধ হয়ে জনি এবং একজন পথচারী রাস্তায় পড়ে আছে। দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্নে নিয়ে আসি। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন তাদের অবস্থা আশঙ্কা জনক।
তিনি আরো জানান আমাদের এলাকায় এর আগেও কয়েকবার রাস্তার লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। অনেকদিন আগে থেকেই পুরনো গ্যাস পাইপলাইন মাটির নিচ দিয়ে যাওয়ায় তা মরিচে পরে জায়গায় জায়গায় লিখে হয়ে গেছে। অনেক সময় কেউ সিগারেট খেয়ে তা রাস্তায় ফালালেও আগুন ধরে যায়। এ ব্যাপারে আমরা আপনাদের মাধ্যমে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে দ্রুত পুরনো এই লিকেজ পাইপ লাইনটি সংস্কার করে নতুন লাইন বসানো হয়। নইলে বারবারই এরকম ঘটনা ঘটবে।