অব্যবস্থাপনা ও লোকসানের কারণে ধুঁকছে সিলেট নগরীর একমাত্র গণপরিবহন সেবা নগর এক্সপ্রেস। শুরুতে ১০টি রুটে বাস চললেও এখন চলছে মাত্র দুটি রুটে। যাত্রীদের অভিযোগ, কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়েই বিকল্প যানবাহনে উঠতে হচ্ছে তাদের। সুযোগ বুঝে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে অটোরিকশার চালকরা। সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ২০১৯ সালে সিলেট নগরীতে চালু হয় নগর এক্সপ্রেস। শুরুতে ১০টি রুটে ২১টি বাস নিয়ে এই সার্ভিস শুরু হলেও, বর্তমানে মাত্র দুটি রুটে চলছে ১১টি বাস।
ফ্রি ওয়াইফাই, ই-টিকিটসহ নানা ধরনের সেবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কোনোটাই বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন যাত্রীরা। এ সুযোগে নগরীতে বেড়েছে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য। বাসের সার্ভিস নিয়ে জানতে চাইলে স্থানীয়রা জানায়, বাসে করে যেসব জায়গায় যেতে আগে দশ মিনিট লাগত, এখন লাগছে আধা ঘণ্টা।আরেক স্থানীয় আবার অভিযোগ করছেন বাসের সময়সূচি আর সংখ্যা নিয়ে। নানা প্রতিবন্ধকতায় নগর এক্সপ্রেস ধুঁকছে বলে স্বীকার করছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বিকল্প গণপরিবহন না থাকায় অটোরিকশা চলাচলে নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সিলেট বিআরটিএ উপপরিচালক রিয়াজুল ইসলাম জানান, সিলেট গণপরিবহন কমিটি থেকে মন্ত্রণালয়ে নীতিমালা তৈরি নিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নগর এক্সপ্রেস গতিশীল করার পাশাপাশি অটোরিকশা চালকদের নীতিমালার মধ্যে আনতে সব দপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ নাগরবাসীর।