চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সংঘর্ষে কিশোর রুমনের মৃত্যুর ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে নিহতের পরিবার। এদিকে, নিহত কিশোরকে নিজেদের কর্মী দাবি করেছে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। নির্বাচনের আগে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপির দাবি, সভা শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগই হামলা চালায়।
শুক্রবার বিকেলে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ আমিনবাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসে ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। কিছু দূরে বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের বাড়িতে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী বিএনপির কর্মসূচি উপলক্ষে আরেকটি সমাবেশ চলছিল। আওয়ামী লীগের অভিযোগ, বিএনপি কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে ছাত্রলীগ কর্মী রুমন নিহত হন। তবে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, মিটিং শেষে ফেরার সময় ছাত্রলীগের কর্মীরাই তাঁদের ওপর হামলা চালায়।
স্থানীয়রা বলছেন, বাজারের একটি দোকানে কাজ করতো নিহত রুমন। হাসান নামে এক ছাত্রলীগ নেতার সাথে তার সখ্যতা ছিল। শুক্রবার বিকেলে হাসানের সাথে বাজারের একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কয়েকজন তার মাথায় আঘাত করে পাশের পুকুরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের ফাঁসি দাবি করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। এ বিষয়ে কথা বলতে রাজী হয়নি জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।