মঙ্গলবার (৩০) এপ্রিল,২০২৪ খ্রিঃ বরিশাল নগরীর আমবাগান এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ি সমাজসেবক মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বাদি হয়ে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধাক্ষ ও নগরীর আমবাগান এলাকার বাসিন্দা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম সহ দুইজনের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।অপর দুই আসামীও একই এলাকার।
উক্ত ট্রাব্যুনালের বিচারক দীর্ঘ শুনানী শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দেন।
মামলার তথ্যসূত্রে জানা গেছে ২০১৬ সালে তৌহিদুল ইসলামের নিকট থেকে ত্রিশ লাখ টাকার চেক জামানত রেখে তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে মোস্তাফিজুর রহমান ত্রিশ লাখ টাকা নেয়। এর দুইদিন পরে প্রায় একুশ লাখ টাকা ফেরত নেয় তৌহিদুল ইসলাম এবং বাকি প্রায় নয় লাখ টাকার সুদ ও আসল সহ আরো প্রায় বাইশ লাখ নেয় তৌহিদুল ইসলাম।
সকল টাকা সুদ আসল সহ পরিষদের পর চুক্তির সাতবছর পর পুরানো চেক ও স্টাম্প দিয়ে সুমনের বিরুদ্ধে তৌহিদুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করে। তৌহিদুল ইসলামের উক্ত দায়েরকৃর্ত মামলায় হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে মোস্তাফিজুর রহমান মহামন্য উচ্চ আদালত ও বরিশাল আদালত হতেও আগাম জামিন নেন।
যার ফলশ্রুতিতে ক্ষিপ্ত হয়ে তৌহিদুল ইসলাম মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও মহামান্য আদালতকে ইঙ্গিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) বিভিন্ন মান হানিকর ও মিথ্যা বানোয়াট কথা লিখে প্রকাশ করেন এবং তার অনুগত একাধিক ব্যাক্তি দিয়ে মান হানিকর কমেন্টর্স করানো হয়।
গণমাধ্যম কর্মীদের মোস্তাফিজুর রহমান সুমন জানান আদালতে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মানহানিকর বানোয়াট তথ্য ছড়ানোর অপরাধে মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন।