ভারী বর্ষণ ও অতিবৃষ্টির ফলে দেশের উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্বাঞ্চলের ৫টি জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার পর নদীর পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবো জানিয়েছে যে বুধবার সন্ধ্যায় ৮টি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির মূল কারণ হিসেবে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতকে দায়ী করা হয়েছে, বিশেষ করে ভারতের ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে।
বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত ছিল। পাউবোর মতে, কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরি, ফেনী, হালদা ও গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা বন্যার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ভারতের ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে টানা বৃষ্টির কারণে এই ঢল নেমে এসেছে, যা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর ওপর প্রভাব ফেলেছে। নদীগুলোর ছোট আকারের কারণে পানি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিম্নাঞ্চলগুলোকে প্লাবিত করেছে।
পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মেহেদী আহমেদ জানিয়েছেন, ভারতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। ফেনী ও গোমতী নদী তীব্রভাবে প্লাবিত হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হবে না, এবং আগামী ১৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
ভারতের ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে যে অতিবৃষ্টি হয়েছে, তার সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছে।
উজানের ঢল এবং অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট এই স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি দেশের উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্বাঞ্চলে কিছুটা দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। তবে পাউবো আশার কথা শোনিয়েছে, আগামীকাল সকাল থেকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক রয়েছে এবং জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪