পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনার ম্যুরাল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১৭ কোটি টাকা। তবে এই ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে নির্মিত এই ম্যুরাল এবং সংশ্লিষ্ট স্থাপনা নির্মাণের জন্য কোনো উন্মুক্ত দরপত্র ডাকা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ম্যুরাল নির্মাণে এত বিপুল ব্যয় অস্বাভাবিক এবং অনেক কম ব্যয়ে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হতো।
পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে নির্মিত বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল নির্মাণের জন্য ১১৭ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এই ম্যুরাল নির্মাণের জন্য কোনো উন্মুক্ত দরপত্র ডাকা হয়নি। মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে এই কাজ দেওয়া হয়। মজিদ সন্স এর আগেও বিতর্কিত প্রকল্পে যুক্ত ছিল, যেমন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘বালিশ-কাণ্ড’। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি হলে খরচ আরও কম হতে পারত।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ম্যুরালগুলো নির্মাণে মাটি ভরাট, পাইলিং, নকশা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য আলাদা ব্যয় দেখানো হয়েছে। জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে নির্মিত ম্যুরালের আকার যথাক্রমে ৭২ ফুট এবং ৯০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট। ২০২২ সালের ২৫ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন, যার আগেই তড়িঘড়ি করে এই ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছিল।
পদ্মা সেতুর ম্যুরাল নির্মাণে ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় করা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এই ব্যয়কে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য এবং স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য খরচ বেশি হয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪