সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সফল অভিযানে ১ লাখ কেজি ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দ, আটক ৫ জন। চিনির মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। সিলেটের চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। প্রশাসনের কঠোর অভিযানের পরও প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে লক্ষ লক্ষ টাকার চোরাই চিনি।
সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সম্প্রতি এক অভিযান চালিয়ে ১ লাখ কেজি ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দ করেছে, যার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। অভিযানে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত কয়েক মাসে সিলেটে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে লক্ষ লক্ষ টাকার চিনিসহ ভারতীয় বিভিন্ন চোরাই পণ্য। ৬ জুন জালালাবাদ থানাধীন হাটখোলা ইউনিয়নের উমাইরগাঁওয়ের ভাদেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে ১৪টি ট্রাক ভর্তি ২ হাজার ১১৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়। সিলেটে চোরাচালানিদের কার্যক্রম নিয়ে প্রশাসন ও স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন।
সিলেটের সীমান্তবর্তী চার উপজেলা গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট চোরাই চিনির চোরাচালানের প্রধান রুট হয়ে উঠেছে। বন্যার মধ্যেও থেমে নেই চিনি চোরাচালান। সীমান্ত এলাকা থেকে নৌপথে চিনি নিয়ে আসা হচ্ছে শহরের বিভিন্ন গুদামে। প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানের পরও চোরাচালানের দৌরাত্ম্য কমছে না।
জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সিলেট জেলা পুলিশ ও মহানগর পুলিশের বিভিন্ন থানায় চোরাই চিনি চোরাচালানের ঘটনায় মোট ৬১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জৈন্তাপুর থানার একটি মামলার আসামি মনসুর আহমদ নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সিলেটের চোরাই চিনি চোরাচালানের দৌরাত্ম্য থামাতে প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব হতে পারে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান (পিপিএম) জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং চোরাচালানের সাথে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪