বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন। তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে রাষ্ট্রীয় সংস্কার কার্যক্রম বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করবেন।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর, দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। এই অবস্থায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি তা গ্রহণ করেন এবং ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁর বক্তৃতায় তিনি দেশে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নতুন সরকারের গৃহীত সংস্কার কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ড. ইউনূস তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সুশাসন, এবং নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারের অগ্রগতি তুলে ধরবেন। তাঁর বক্তব্যে ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে ছাত্রদের বীরত্ব এবং তাদের আত্মত্যাগের গল্প উঠে আসবে।
ড. ইউনূসের এই সফর তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক সফর হবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে। জাতিসংঘের অধিবেশনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং সাইড ইভেন্টেও অংশ নেবেন। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা এবং দ্বিতীয় বিজয়ের নতুন যাত্রায় সরকারের লক্ষ্য ও কর্মসূচি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করবেন।
তিনি বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানাবেন, ভূরাজনৈতিক সীমার ঊর্ধ্বে থেকে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে এবং দেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক উন্নয়নের সাথে যুক্ত হতে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘের এই ভাষণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং গণতান্ত্রিক অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করবে। তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের রূপরেখা ও বিশ্বের সাথে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরা হবে।
রিলাক্স নিউজ ২৪